আয়রন, খনিজ, ক্যালসিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস এবং ভিটামিনের মতো একাধিক পুষ্টিগুণ থাকার ফলে, এই ফল শরীর সুস্থ রাখতে জাদুকরী কাজ করে।
খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও বেশ পরিচিত একটি ফল। এই ফলকে চিনির বিকল্প হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুর শক্তির একটি ভাল উৎস এবং পুষ্টির ভান্ডার। আয়রন, খনিজ, ক্যালসিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস এবং ভিটামিনের মতো একাধিক পুষ্টিগুণ থাকার ফলে, এই ফল শরীর সুস্থ রাখতে জাদুকরী কাজ করে।
প্রতিদিন ডায়েটে অন্তত ২-৩ টি খেজুর রাখলে তা দারুণ উপকারী। এই উপকার দ্বিগুণ হয়, রোজ ভিজিয়ে খেজুর খেলে। প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে প্রায় ৫.১ গ্রাম প্রোটিন, ২৭২- ৩০০ ক্যালোরি, ০.৪ গ্রাম চর্বি, ২ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৬৫৬ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। জানুন কী কী উপকার রয়েছে এই ফলের।
১. খেজুরে রয়েছে ফাইবার। যা, হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
২. খেজুরে মজুত খনিজ উপাদান হাড়কে মজবুত করে এবং জয়েন্ট সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৩. গর্ভবতী মহিলারা যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাদের স্বাভাবিক প্রসবের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সিজারিয়ান ডেলিভারির ফলে উদ্ভূত জটিলতা মহিলাদের জন্য ভাল নয়। সেক্ষেত্রে খেজুর খাওয়া প্রসবের পুরো প্রক্রিয়াটিকে অনেক সহজ করে তুলতে সাহায্য করে।
৪. খেজুরে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ডি ত্বককে সুস্থ রাখে, যার ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়।
৫. খেজুরে প্রচুর আয়রন থাকায় এটি চুলের জন্যও ভাল। আয়রন রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ফলে চুলকে শক্তিশালী হয় এবং দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
৬. এটি উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে এবং শরীরে ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়।
তবে কোনও কিছুই কম বা বেশি খাওয়া ভাল না। তাই চিকিৎসক বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ নিন।
