নিউইয়র্ক     শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থ পাচারের মামলায় ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেফতার যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৩ | ১২:২৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ | ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
অর্থ পাচারের মামলায় ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেফতার যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম

অর্থ পাচারের মামলা মাথায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগ মহূর্তে গ্রেফতার হয়েছেন প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম। অর্থ পাচারের মামলায় ই-কমার্স কোম্পানি আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরপরই ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে আবুল কাশেমকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়।

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, মামলার পর ওই চারজন যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য বিমানবন্দরসহ সংশ্লিষ্ট জায়গায় তথ্য পাঠানো হয়। আর এ তথ্যের ভিত্তিতেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে গত বুধবার (২১ জুন) মধ্যরাতে আমেরিকা যাওয়ার সময় আবুল কাশেমকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে সিআইডির কাছে আবুল কাশেমকে হস্তান্তর করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হলে শুনানির জন্য ২৫ জুন তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক। সেইসঙ্গে আবুল কাশেমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অর্থ পাচারের মামলায় গত বুধবার (২১ জুন) ই-কমার্স কোম্পানি আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম শিকদারসহ যে চারজনের বিদেশযাত্রায় আদালত নিষেধাজ্ঞা দেয় তাদেরই একজন আবুল কাশেম। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া বাকি দুজন হলেন, আলেশা মার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মঞ্জুর আলমের স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরী এবং আলেশা মার্টকে মোটরসাইকেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস কে ট্রেডার্সের মালিক মো. আল মামুন। আবুল কাশেম গ্রেফতার হলেও অন্যরা পলাতক।

এ মামলার একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকের পদ পাওয়ার জন্য এবং শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে হাজারো গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া একশ কোটি টাকা মঞ্জুর আলম ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে দিয়েছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বুধবার ওই চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দেন আদালত। কয়েক ঘণ্টা পর রাতেই বিমানবন্দরে আটক হন আবুল কাশেম।

এর আগে, প্রতারণার শিকার প্রায় ৩ হাজার গ্রাহকের আবেদনের ভিত্তিতে তদন্তে প্রমাণ পাওয়ায় গত ৩১ মে এই চারজনসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আল মামুন। তিনি বলেন, এই চারজন ছাড়াও প্রতিষ্ঠান হিসাবে আলেশা মার্ট লিমিটেড, আলেশা হোল্ডিং লিমিটেড, আলেশা কার্ড লিমিটেড, আলেশা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটিড, আলেশা টেক লিমিটেড, অলেশা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, আলেশা রাইড লিমিটেড, আলেশা এক্সপোর্ট ইমপোর্ট লিমিটেড, আলেশা ফার্মেসি লিমিটেড, আলেশা অ্যাগ্রো লিমিটেডের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। তারা বিভিন্ন অফার দিয়ে বহু গ্রাহকের কাছ থেকে মোটরসাইকেল ও ইলেকট্রনিক বিভিন্ন পণ্য সরবরাহের জন্য অগ্রিম অর্থ নিয়ে পণ্য বা টাকা ফেরত না দিয়ে ই-কমার্স ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে মানিলন্ডারিং অপরাধ করছে।

শেয়ার করুন