যুক্তরাষ্ট্রে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর বাসভবনে আপ্যায়িত হলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। দিন কয়েক আগে সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি জাস্টিস ওবায়দুল হাসান ভার্জিনয়ায় জালিয়াতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক ইমিগ্রেশান এটর্ণী মোহামেদ আলমগীর এর বাসভবনে আতিথ্য গ্রহণ করেছেন। একাধিক বাংলাদেশীর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্রেশ্যান সুবিধা অর্জনের ক্ষেত্রে জালিয়াতির ১৬৪টি অভিযোগে সাবেক ইমিগ্রেশান এটর্ণী মোহামেদ আলমগীর ২০০৪ সালের ২৩ এপ্রিল আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেল খেটেছেন।
আদালতের নথিপত্রে দেখা যায়, ১৯৯৬ সালের আগষ্ট মাস থেকে ২০০৩ সালের আগষ্ট মাস পর্যন্ত মোহামেদ আলমগীর স্রেফ লোভের বশবর্তী হয়ে লেবার সার্টিফিকেশানের জালিয়াতির মাধ্যমে ২ মিলিয়ন ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। আদালতে মোহামেদ আলমগীর ১৫৯টি জালিয়াতি, ৪টি মানি লন্ডারিং ও ১টি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। শাস্তি হিসেবে ৪০ মাস জেল খাটার পর তদারকিতে ৩ বছরেে জন্য সীমিত মুক্তি, ২ মিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্ত যার মধ্যে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার তিনি পরিশোধ করেছেন এবং পেনসিলভেনিয়া ও ডিষ্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়ায় আইনী পেশায় লিপ্ত থাকার সুযোগ কেড়ে নেওয়া হয়।
ইমিগ্রেশান আইনজীবী হিসেবে তাঁর লাইসেন্সও বাতিল করা হয়। যা এখনো পর্যন্ত বাতিলই রয়ে গেছে যদিও তিনি কম্যুনিটিতে এখনো ‘এটর্নী আলমগীর’ হিসেবেই পরিচিত। জালিয়াতির অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তিনি গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেশন অফ বাংলাদেশী এসাসিয়েশানস অফ নর্থ আমেরিকা (ফোবানা) কয়েক অংশের মধ্যে এক অংশের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছেন। (ফোবানা) কয়েক অংশের মধ্যে এক অংশের চেয়ারম্যান পরিচয়ে তিনি গত বছর ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথেও সাক্ষাত করেছেন।
বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় সবচাইতে দায়িত্বপুর্ণ অবস্থানে থাকার পর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান কিভাবে এবং কি প্রয়োজনে জালিয়াতির দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দন্ডিত ও সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামীর বাসভবনে আপ্যায়িত হতে পারেন সে প্রশ্ন আজ অনেকেরই।