তরতাজা শাক পুষ্টির যোগান দেয় শতভাগ। পালংশাককে সুপারফুড বলা হয়। তেমনি লাল শাকের জুড়ি মেলা ভার। লাল শাকেও রয়েছে নানা রোগের ওষুধের মত কার্যক্ষমতা।
পালংশাক:
সুপারফুড পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। এটি মানুষের ত্বক ও শ্লেষ্মা ঝিল্লি থেকে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া পালংশাকে ভিটামিন সি, কে, ডি, আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এগুলো আমাদের হাড়ের গঠন ও মজবুত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়।
১. এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, বিভিন্ন সংক্রমিত রোগ থেকে রক্ষা করে।
২. পালংশাক হৃদ্যন্ত্র সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
৩. এ ছাড়া ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের বিরুদ্ধেও কাজ করে।
৪. বিটা ক্যারোটিন রয়েছে পালংশাকে। এতে চোখের জ্যোতি বাড়ায় এবং চোখের ছানি পড়া প্রতিরোধ করে।
৫. পালংশাকে রয়েছে ফোলেট বা ফলিক এসিড। এটি অন্তঃসত্ত্বা এবং স্তন্যদানকারী মায়ের জন্য খুবই উপকারী।
৬. এছাড়া পালংশাকে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ভিটামিন কে যা পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখে।
লালশাক:
রক্তশূন্যতা দূর করতে লালশাকের বিকল্প নেই এটা সবাই জানে। তবে শুধু রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় আয়রনই নয়; এ শাকে রয়েছে আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান, যা শিশুদের শারীরিক বিকাশেও বিশেষ উপযোগী। উপকারিতা:
১. লাল শাকের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ ও ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
২. এই শাক রক্তে কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। লালশাকে ক্যালরির পরিমাণ তুলনামূলক কম থাকে। মানবদেহের দাঁত ও অস্থি গঠনে, দাঁতের মাড়ির সুস্থতা রক্ষায় এবং মস্তিষ্কের বিকাশে লালশাকের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে।
৩. এ শাকের আঁশ বা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটা বাড়তি ওজন কমাতেও সহায়ক।
৪. লালশাক ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
৫. ভিটামিন সির অভাবজনিত রোগ স্কার্ভি প্রতিরোধ করে।
৬. লালশাকে কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে বের হয়ে যায়।