নিউইয়র্ক     শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিউইয়র্কের বাফেলোতে দুই বাংলাদেশি হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন ঘাতক গ্রেফতার, ৫ দিনের রিমান্ডে

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪ | ০২:০৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৪ মে ২০২৪ | ০২:০৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
নিউইয়র্কের বাফেলোতে দুই বাংলাদেশি হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন ঘাতক গ্রেফতার, ৫ দিনের রিমান্ডে

গত ২৭ এপ্রিল শনিবার ভরদুপুরে নিউ ইয়র্ক স্টেটের বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী অধ্যুষিত বাফেলোতে দুই বাংলাদেশি বাবুল মিয়া এবং আবু ইউসুফকে  গুলি করে হত্যায় জড়িত সন্দেহে ৩১ বছর বয়সী ড্যাল ও কিউমিংস-কে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বাফেলো পুলিশ। তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে বাফেলোস্থ এরিক কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মাইকেল জে কীন।

যে বাড়িতে কাজের সময় বাবুল মিয়া ও আবু ইউসুফ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন, তার পার্শ্ববর্তী একটি সিসিটিভির ফুটেজ থেকে ওই যুবককে শনাক্ত হয়। তার বিষয়ে তথ্য প্রদানকারীকে সাড়ে ৭ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল বাফেলো পুলিশ।

২৯ এপ্রিল সোমবার অপরাহ্নে বাফেলো সিটি মেয়র বাইরেন ডাব্লিউ ব্রাউন, বাফেলো পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রেমাগলিয়াকে পাশে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত ড্যাল ও কিউমিংস’র কাছে একটি অটোমেটিক রাইফেল পাওয়া গেছে। সেটি বেআইনীভাবে তার দখলে ছিল। তা পরীক্ষা করা হচ্ছে ঐ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা।

রিক্ট অ্যাটর্নি আরও জানান, ড্যাল ও কিউমিংস-এর বিরুদ্ধে বাফেলো ক্রিমিনাল কোর্টে বেশ কটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তার নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা না থাকায় (গৃহহীন) ঐসব মামলার একটিতেও সে হাজিরা দেয়নি। এমনি অবস্থায় ২৭ এপ্রিল ভরদুপুরে যিনার স্টিটের ১০০ ব্লকে গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হবার আশপাশের ভিডিও ফুটেজে প্রায় একইসময়ে তার অস্তিত্ব দৃশ্যমান হয়েছে।

২৮ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে বাফেলো সিটির ইস্ট ডেলাভ্যান এবং নরফোক এভিনিউ থেকে পুলিশ ড্যাল ও কিউমিংস-কে গ্রেফতার করেছে। সে সময় তার কাছে গুলি ভর্তি রাইফেল-সহ ভয়ংকর কিছু সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। রাইফেলটি সে বেআইনীভাবে বহন করছিল। সোমবার তাকে বাফেলো সিটি কোর্টে জজ স্যামুয়েল পি ডেভিসের এজলাসে সোপর্দ করা হয়। সে সময় আদালত তাকে জামিনহীন আটকাদেশ দেন। একইসাথে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ মে সকাল পর্যন্ত রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে। বেআইনীভাবে এই অস্ত্র রাখা ও বহনের মামলাতে সে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী উল্লেখ করেছেন। জোড়া খুনের দায়ে জড়িত থাকলে সারাজীবন তাকে কারাগারেই কাটাতে হবে বলে একজন আইনজীবী উল্লেখ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র এবং পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য থেকে জানা যায়, দুই বাংলাদেশি আবু ইউসুফ (৩৯) এবং বাবুল মিয়া (৫৯) যে পরিত্যক্ত বাড়িতে কাজের জন্য গিয়েছিলেন, সেটি বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। ড্যাল ও কিউমিংস ঐ বাসায় বাস করছিল। সেটি মেরামতের পর বিক্রি হয়ে গেলে সে থাকবে কোথায়-এ আশংকা থেকেই হয়তো ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে গুলি করেছে। তবে সে টার্গেট করে কিংবা বিদ্বেষের বশবর্তি হয়ে গুলি ছুড়েনি বলে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি দাবি করেন। অর্থাৎ সে সময় অন্য কেউ গেলেও গুলিবিদ্ধ হতেন।

পুলিশ কমিশনার জানান, গুলির শব্দ পেয়েই ৯১১ এ ফোন করা হয়। সাথে সাথে টহল পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখেন যে, একজন মারা গেছেন, আরেকজনকে গুরুতর অবস্থায় নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গুলিতে নিহত সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ইউসুফ ৭ সন্তানের জনক ছিলেন। আর কুমিল্লার বাবুল মিয়ার দুই সন্তান এবং তার স্ত্রীর গর্ভে রয়েছে আরেকজন।

এদিকে দুই বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে রবিবার জোহরের নামাজের পর বাফেলো মুসলিম সেন্টারের সামনে এক বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে অবিলম্বে দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের প্রবাসী এই বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বাফেলো সিটি মেয়র বাইরেন ডাব্লিউ ব্রাউন, বাফেলো পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রেমাগলিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা এসেছিলেন কম্যুনিটির সংকটে সংহতি প্রকাশ করতে। একইসাথে দুর্বৃত্তকে শনাক্ত ও গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টার বিষয়টি অবহিত করেন তিনি।

বিকালের বিশাল বিক্ষোভের দুই ঘণ্টা পরই সন্দেহভাজন দুর্বৃত্তকে সিটির ইস্ট ডেলাভান এবং নর্থ ফর্ক এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

অভিযুক্ত ব্যক্তির গ্রেফতারের সংবাদে কম্যুনিটিতে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এলেও নিরাপত্তাহীনতা কমেনি। কারণ, বাবুল মিয়া ও আবু ইউসুফকে একটি বাড়ি মেরামতের সময় কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

বিক্ষোভ-সমাবেশে কম্যুনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার অব বাফালোর সভাপতি এ কে এম ফাহিম, আল ইসান জামে মসজিদের সভাপতি ও বৃহত্তর কুমিল্লা সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী আবুল বাসার, পিবিসি টুয়েন্টিফোর টেলিভিশন সম্পাদক ও বিএনপি নেতা মতিউর রহমান লিটু, বাফেলো সিটি হলের কর্মচারী নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল মোস্তফা (জাভেদ), বাফেলো বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ বেলাল, বরিশাল সোসাইটি অব বাফেলোর সভাপতি সৈয়দ ঝিলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামান মিয়া, বায়তুল মোকাররম মসজিদের সভাপতি কবির পোদ্দার, হোম ওনার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামাল হোসেন। কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্টদের মধ্যে ছিলেন ড. ফাহিম তাজওয়া, ড. মোমিন উল্লাহ, মইনুল হোসেন, আব্দুল মান্নান তাজু, মারুফ আহাম্মেদ, ফাইজুর রহমান, জামাল উদ্দিন, বোরহান আলী, খালেদ আলী, জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ।

জোড়া খুনের সংবাদ জানার পরপরই নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা নিহতদের স্বজন এবং বাফেলো কম্যুনিটির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন এবং কন্স্যুলেট সবসময় সক্রিয় রয়েছে বলে সকলকে জানান।

নিউইয়র্ক ভিত্তিক বার্তা সংস্থা ইউএনএ জানায়, নিহত দুই বাংলাদেশী একটি বাড়ীর কনস্ট্রাকশনের কাজ করতে গেলে সেখানে দূর্বৃত্তরা গুলি করে। ফলে ঘটনাস্থলেই উভয়ে মৃত্যুবরণ করেন বলে কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট মতিউর রহমান লিটু জানিয়েছেন। তারা দু’জনই কিছুদিন আগে মেরিল্যান্ড থেকে বাফেলোতে গিয়ে সেখানে একাধিক বাড়ী কিনে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন। অপর একটি সূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার দু’জন তাদের নিজেদের বাসার কন্সট্রাকশনের কাজ দেখতে যাওয়ার পর বাসার ভিতর থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করা হলে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। রাত ৮টার দিকে নিহতের পরিবারকে ঘটনার কথা জানায় স্থানীয় পুলিশ। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত দুই বাংলাদেশীর মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। অপরদিকে ঘাতককে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং একজনকে সন্দেহ করে তার ছবি প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে ইউসুফ জনি ২ কন্যা সন্তানের জনক এবং তার স্ত্রী সন্তান সম্ভাবা। আর বাবুল উদ্দিন ৭ সন্তানের জনক।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ইউসুফের উপস্থিতিতে তার বাফেলোর বাড়িতে বাবুল কাজ করছিলেন। এ সময় একজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক এসে তাদের কাছে কিছু অর্থ দাবি করে। উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক তাদের ওপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাদের লাশ উদ্ধার করে। লাশ দুটি ইসিএমসি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নিহত বাবুল কুমিল্লা পৌরসদরের হরিপুর উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের অষ্টম সন্তান। সে গত ১৯৯১ সালে ডিভি লটারির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে আগমন করেন। ৩ বছর পর দেশে ফিরে পার্শ্ববর্তী দাউদপুর গ্রামে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রী হাবিবাকে (৪০) নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন। প্রথমদিকে বাবুল হোটেলে চাকুরী করতেন। এরপর হাউজিং ব্যবসা শুরু করে। বর্তমানে তিনি একাধিক বাড়ির মালিক হয়ে বাড়ির দেখাশোনা করেন। সাত সন্তানের মধ্যে তার দেড় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তার বড় ছেলে সিফাত নাগরিকত্ব পেয়ে সেখানে গাড়ি চালান। বর্তমানে বাবুলের পুরো পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

সিলেটে ইউসুফের পরিবারে শোকের মাতম: নিহত ইউসুফের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নে। তার পুরো নাম আবু সালেহ মো. ইউসুফ জনি। বছরখানেক আগে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ইউসুফ নিহত হওয়ার খবর রোববার সকাল ৭টায় ফোনে জানানো হয় তার বাড়িতে। ছেলে নিহত হওয়ার খবর পাওয়ার পরই মা নাজিরা বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। নাজিরা বেগম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। ইউসুফের বাবা নুরুল হক দুইবারের ইউপি সদস্য এবং একবারের ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি ঢাকার দৈনিক যুগান্তরকে বলেন, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি নিজের বাচ্চাদের ভালো প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করানোর স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে গিয়েছিল ইউসুফ। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ইউসুফের চাচা সাহাব উদ্দিন জানান, ইউসুফেরা তিন ভাই, এক বোন। এক ভাই মাল্টায় এবং অপর ভাই ঢাকায় থাকেন। একমাত্র বোন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। তিনি বলেন, লাশ দেশে আনার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ওখানে আইনি বিষয় সম্পন্ন হলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

এদিকে নিহত জনি-বাবুলের মরদেহ ময়না তদন্তের পর পরবর্তীতে তাদের জানা ও দাফন সহ অন্যান্য কার্যক্রমের কর্মসূচী নেয়া হবে বলে জানা যায়। অপরদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ, বিচার এবং বাফেলোর সকল বাংলাদেশীর নিরাপত্তার দাবীতে রোববার (২৮ এপ্রিল) সমাবেশ আহ্বান করা হয়। এদিন বাদ জোহর নামাজের পর বাফেলো মুসলিম সেন্টারে (৯৯৫ ফিলমোর এভিনিউ, বাফেলো, নিউইয়র্ক ১৪২১১) এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবী করা হয়। সমাবেশে সিটি মেয়র ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা যোগ দেন এবং অপরাধীকে গ্রেফতার সহ ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন। কিন্তু এসময় বিক্ষুদ্ধ প্রবাসীদের ক্ষোভ আর প্রতিবাদের মুখে এক পর্যায়ে মেয়র সহ বাফেলো প্রশাসনের কর্মকর্তারা সভাস্থল ত্যগ করেন। এরপর বৃষ্টির মধ্যেও ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা জনি-বাবুল হত্যার প্রতিবাদে মসজিদ সংলগ্ল রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে। অনির্ধারিত ও অনুমতিহীন এই সমাবেশে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ বাধাও দেয়নি।

স্টপ দ্য ভায়োলেন্স কোয়ালিশনের নির্বাহী পরিচালক মারে হলম্যান বলেন, বাফেলো শহর খুব শান্ত। এখানে এ ধরনের ঘটনা খুব দুঃখজনক। সহিংসতাবিরোধী সম্প্রদায়ের অন্য সদস্যরা আমাদের এ ব্যাপারে সাহায্য করবে বলে আশা করি। উল্লেখ্য, কয়েকমাস যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী নিউইয়র্ক সহ বিভিন্ন রাজ্যে নানাভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ পুলিশের হাতে, কেউবা দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন। এসব ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শেয়ার করুন