বর্তমানে শীতকালীন সবজির মধ্যে ব্রকলি বেশ পরিচিত। ফুলকপির মতো দেখতে এ সবুজ রঙের সবজিটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও খেতে সুস্বাদু । কয়েক বছর আগেও এদেশে এই সবজির প্রচলন ছিল না। কিন্তু বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি উৎপাদন করা হয়।
‘ব্রকলি একটি পুষ্টিকর সবজি। আমরা সবাই প্রায় এটি দিয়ে তরকারি রান্না করে খেয়ে থাকি। তবে কাঁচা ব্রকলি থেকে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। ব্রকলি অনেকক্ষণ ধরে রান্না করলে এর পুষ্টি উপাদান হ্রাস পায়। তাই এটি ভাপে সেদ্ধ করা ভালো। সালাদ, স্যুপ বানিয়েও খাওয়া যায় ব্রকলি। তবে একটানা কোনোকিছু খাওয়াই ভালো না। সপ্তাহে ৩-৪ দিন খাদ্যতালিকায় ব্রকলি রাখতে পারেন।
১০০ গ্রাম ব্রকলিতে রয়েছে: ক্যালোরি -৩২ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট – ৬ গ্রাম, প্রোটিন -২.৫ গ্রাম, ফাইবার-২.৫ গ্রাম, ফ্যাট-০.১ গ্রাম, এ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৯, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, বিটা ক্যারোটিন, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি উপাদান। ব্রকলির ৯৭ শতাংশ পানি।
ব্রকলির উপকারিতা:
১. ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিক্যালস দূর করে।
২. ব্রকলিতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়াতে এটি দেহের খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলকে প্রতিহত করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
৩. ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। ফাইবার ও পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এটি খেলে অন্য খাবারের আসক্তি কমে।
৪. সালফোরাফেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডকে বিভিন্ন হৃদরোগের থেকে রক্ষা করে। ব্লাড সুগারের মাত্রা কমায়।
৫. ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ, জ্বর, মুখের ঘা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি আরও অনেক রোগ প্রতিহত করে।
কারা ব্রকলি খাবেন না
১.থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ব্রকলি খাওয়া নিষেধ। ব্রকলি থাইরয়েড গ্রন্থির ওপর প্রভাব ফেলে।
২. অনেকের ব্রকলিতে থাকা কিছু সুগার সহজে হজম হয় না। হজমে বাধা সৃষ্টি হলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে ব্রকলি রান্না করে খাওয়া ভালো।