ইরান সমর্থিত ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের সময় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তি হিসেবে তেহরানের ৬ বিলিয়ন ডলারের অর্থ ছাড়ের বিষয়টি। পরমাণু চুক্তি থেকে ইরান সরে গেছে এ অজুহাতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে তেহরানের তেল রপ্তানি এবং ব্যাংকিং খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় সাউথ কোরিয়ার কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ইরানের ওই অর্থ ফ্রিজ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় ইরানে আটক ৫ মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়। একইভাবে যুক্তরাষ্টের আটক ইরানের ৫ নাগরিককেও মুক্তি দেওয়া হয়। সঙ্গে ইরানের বাড়তি প্রাপ্তি যোগ হয় ৬ বিলিয়ন ডলার।
ইরান সমর্থিত ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক আক্রমণ শুরু করার পরে এই চুক্তিটি আলোচনায় উঠে আসে। এই ঘটনায় নিকি হ্যালিসহ কিছু রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা দাবি করেন, ইরান এই অর্থ ব্যবহার করতে পারে হামাস এবং ওই অঞ্চলের অন্যান্য গোষ্ঠীকে অর্থায়নের ক্ষেত্রে।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, হামাসের হামলার সাথে ইরানের যোগসূত্রের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, ইরান এখনও পর্যন্ত ৬ বিলিয়ন তহবিলের একটি ডলারও ব্যয় করতে পারেনি।
ব্লিঙ্কেন বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক কেউ কেউ এ বিষয়ে এমন সময়ে রাজনীতি করছেন যখন হাজারো মানুষ হামাস ও ইসরায়েলের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন । তিনি বলেন, ওই অর্থ শুধুমাত্র ইরানের জনগণের জন্য খাদ্য, ওষুধ বা কৃষিপণ্য কেনার শর্তে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের চুক্তিটিকে ইরান এবং বিশ্বশক্তির মধ্যে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার একটি পদক্ষেপ হিসেবেও দেখা হয়।