নিউইয়র্ক     শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিউইয়র্কে মঞ্চে দাঁড়িয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি চাইলেন কবি–লেখকেরা

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ০৮:৩০ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ০৮:৩০ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
নিউইয়র্কে মঞ্চে দাঁড়িয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি চাইলেন কবি–লেখকেরা

নিউইয়র্কে গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বসেছিল ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড প্রদানের আসর। তবে সেই আসর থেকে উঠেছে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দাঁড়িয়ে লেখক-কবি–সাহিত্যিকেরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে যুদ্ধবিরতি চাইলেন; এ জন্য দিলেন যৌথ বিবৃতি।

যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান অন্যান্যবারের মতো এবারও লেখক, কবি, সাহিত্যিক ও তারকাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। তবে এবার এ আসরে উঠে আসে গাজায় চলমান ধ্বংসযজ্ঞের বিষয়টি।

কল্পকাহিনি, বাস্তবধর্মী সাহিত্য (ননফিকশন), কবিতা, শিশুসাহিত্য ও অনুবাদ—এ পাঁচ শাখায় পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ২০ জন গাজায় যুদ্ধবিরতি চেয়ে যৌথ বিবৃতি দেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে কল্পকাহিনি শাখায় মনোনয়ন পাওয়া লেখক আলিয়াহ বিলাল লিখিত বিবৃতি পড়ে শোনান।

আলিয়াহ বিলাল বলেন, ‘চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে আমরা গাজায় চলমান বোমাবর্ষণের বিরোধিতা করছি। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনের বেসামরিক মানুষদের, বিশেষ করে শিশুদের জরুরি মানবিক প্রয়োজন মেটাতে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে লেখক–কবিরা বলেন, ‘আমরা ইহুদিবিদ্বেষ, ফিলিস্তিনবিরোধী মনোভাব ও ইসলামোফোবিয়ার সমানভাবে বিরোধিতা করি। সব পক্ষের মানবিক মর্যাদাকে মেনে নিয়ে আমাদের মত হলো—এ অঞ্চলে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও রক্তপাত কোনো সমাধান বয়ে আনবে না।’

গাজায় যুদ্ধবিরতি চেয়ে লেখক–কবিরা যুদ্ধের বিরোধিতা করে প্রতিবাদ জানাবেন, এ খবর আগে থেকেই চাউর হয়ে যায়। এ জন্য আগের দিন বুধবার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় এর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক অনলাইনে বইয়ের গ্রাহক হওয়ার (সাবস্ক্রাইব) করার প্ল্যাটফর্ম ‘বুক অব দ্য মান্থ’। নিউইয়র্ক টাইমসকে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা অনুষ্ঠানে সহায়তা করে যাবে; তবে অংশ নেবে না।

আরেক পৃষ্ঠপোষক ‘জিব্বি মিডিয়া’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জিব্বি ওয়েনস অনলাইনে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগেই জানিয়েছিলাম, পুরস্কারপ্রাপ্ত ও মনোনীত লেখক–কবিরা অনুষ্ঠানমঞ্চকে ফিলিস্তিন নিয়ে প্রতিবাদের জায়গা বানানোর পরিকল্পনা করছেন। তাঁরা “ফ্রি প্যালেস্টাইন” শব্দ দিয়ে শুধু একটি জায়গা নয়, পুরো একটি ধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।’

জমকালো এ আয়োজনে জনপ্রিয় মার্কিন টিভি উপস্থাপক অপরাহ উনফ্রে, ইতিহাসবিদ নেড ব্ল্যাকহক, জাস্টিন তোরেস, ড্যান সান্তাত, কবি ক্রেইগ সান্তোস পেরেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ডের ৭৪তম আসর বসেছিল এবার। যুক্তরাষ্ট্রের সাহিত্য জগতে একে অন্যতম সন্মানজনক পুরস্কার বিবেচনা করা হয়। এর আগেও বুক অ্যাওয়ার্ডের আয়োজনকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদ জানানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন লেখক–কবি–সাহিত্যিকেরা।

শেয়ার করুন