নিউইয়র্ক     শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমের উপকারিতা

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩ | ১০:৩২ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৬ জুন ২০২৩ | ১০:৩২ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
আমের উপকারিতা

গরমে চারপাশ যখন খাঁখাঁ করে তখন প্রকৃতির উপহার হিসেবে পাওয়া যায় নানা রকম মিষ্টি ফল। যেমন : আম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ ইত্যাদি। আমকে বলা হয় ফলের রাজা। কারণ গ্রীষ্মকালে যে পাকা রসালো মিষ্টি আম পাওয়া যায়, সেটি দারুণ পুষ্টিতে ভরপুর। আমের পুষ্টিগুন ও উপকারিতার কথা জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি আমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন, যা সারা বছরের ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতি পূরণে সহায়ক। এ ছাড়া আমে প্রচুর পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬, ফাইবার ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

কেন খাবেন আম ?

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। ইমিউনিটি পাওয়ার কম থাকলে যেকোনো সামান্য রোগও আমাদের আক্রমণ করতে পারে দ্রুত। তাই দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পর্যাপ্ত রাখা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আম দারুণ ইমিউনিটি বুস্টার ফুড। এই গরমে খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে দৈনিক একটি আম। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে দেহের নানাবিধ জটিলতা বা রোগ থাকলে যেকোনো খাবারেই থাকে কিছুটা নিষেধাজ্ঞা। সে ক্ষেত্রে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে অনেকেই প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় পড়ে যান এই গরমে রসালো আম খাদ্যতালিকায় রাখবেন নাকি সম্পূর্ণ বাদ দেবেন। সত্যি বলতে ডায়াবেটিক রোগীর সম্পূর্ণ মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে বিষয়টি এমন নয়। যেহেতু রক্তে সুগারের আধিক্য থাকে, সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুগার গ্রহণের ফলে এর মাত্রা আরও বেড়ে যায় এবং নানাবিধ অসুবিধার সৃষ্টি হয়। সে ক্ষেত্রে একটি আমের চার ভাগের একভাগ সপ্তাহে দুই দিন গ্রহণে খুব একটা অসুবিধা হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে আগে থেকেই রক্তের সুগার বেশি থাকলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণে খাদ্যতালিকায় আম রাখতে হবে।

আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ সম্ভবত পাওয়া মুশকিল। সে ক্ষেত্রে আমপ্রিয় ব্যক্তিদের ওজন বাড়াতে ও কমাতে উভয় ক্ষেত্রেই আম বেশ কার্যকর। অনেকেই প্রচুর খাবারদাবার গ্রহণ করার পরও ওজন পর্যাপ্ত পরিমাণে বাড়াতে সক্ষম হন না, তাদের ক্ষেত্রে আম হতে পারে দারুণ পথ্য। আমে সুগার ও ক্যালোরি উচ্চ মানের থাকায় এই গরমেই যাদের ওজন কম নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের ওজন বাড়ার সুযোগ থাকে। সে ক্ষেত্রে আম দুধ বা আমের তৈরি নানাবিধ রেসিপি তৈরি করে খেতে পারেন। আর ওবেসিটি বা স্থূলতার সমস্যায় আছেন যারা, তাদের জন্য পরামর্শ হলো আম যদি খেতেই হয়, সে ক্ষেত্রে অন্য কোনো কার্বোহাইড্রেটের সোর্স বন্ধ বা কমিয়ে ফেলুন। সে ক্ষেত্রে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং প্রিয় আম গ্রহণে অসুবিধা হবে না। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেহেতু প্রচন্ড গরমে আম পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে আম একত্রে গ্রহণ না করাই ভালো। বেশি আম গ্রহণে অনেকের বদহজম বা ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অবশ্যই পরিমাণ ঠিক রেখে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে আম।

এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন