রাত দুপুরে অরণ্য বহে যায় যমজ বনজ শব্দস্রোত।
কবির শ্লোক জোড়ে আলোরং জ্যামিতিক মিউজিক
নীড়ে টুইটারে ওড়ে অর্ফিজম
গীয়ম অ্যাপলেনিয়ার কয় —
“What is not given to love is so much wasted”
ভালোবাসা নান্দনিক পরিতোষ
শিল্পরীতির মতো পার হয়ে আসা নতুন শিল্পভাষা,
কবিতার অন্তর সঙ্গীত;
সোনিয়া ডিলনের উজ্জল রং তাঁত
কাসকেডে দেয়ালে বিমূর্ত মহাকাব্য।
ভালোবাসার জন্য মধ্যরাতে কবির মনোলগঃ
ঝরা পাতার মরা সঙ্গীতে বাজে বার্ডসং লেন,
খর্বাকার প্যাপিরাসে জাগে মৃত চিতাচোখ,
ঘাসরং নদীজল ছোটে জোয়ারের ব্লাঙ্ক-ভার্স,
মোমরঙ মেঘের শ্যামল ছোটে বৃষ্টির ব্রাশস্ট্রোক,
বিঠোফেন, শুবার্টের সুরলয় বেয়ে ক্ষ্যাপাটে মোজার্ট বাজে
“exultate jubilate”
রাত দুপুরে হরিৎ অরণ্য ছোটে চিতা ক্ষিপ্রতা
শেকড়ে ছড়ায় বুনো দৌড় —
জল হারায় জলের অলঙ্কার ইরাবতী ডলফিন।
এখন বারুদে আগুনে নদী ও অরণ্য যৌবনহীন।
এখন শোনে না কেউ নির্জন কবির লিরিক গর্জন।
এখন বাজে না ইকো-নারী ভার্জিন মুর্ছনা
ঝরে না অরণ্য বর্ষারণ্য।
গ্রানাইট কংক্রিটে পা জোড়া তোমার স্বর্গসিঁড়ি —
পাতায় বিচিত্রদৃক ফোঁটে টিউলিপ যুগল পাপড়ি।
পিয়ানো রীডের মতো লিরিক আঙুলে ঝরে
ক্যালিডোস্কোপিক প্রেমের সনাটা,
ব্যালেরিনার উরুর বাঁকে স্পাইরাল নাচ;
মরিচিকা শেষে পোড়া পায়ে এসে দাঁড়ায় শ্যামল ওয়েসিস—
চুমুকে নহরে কাঁপে অ্যাকুয়াফার্স।
চন্দ্রালোক প্রিয়দর্শী, জলের বোরখা খোলো,
মৃগনাভী জায়নামাজে ঝরি অভিসারী সিজদা।