নিউইয়র্ক     রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইশতিয়াক রুপুর ছড়া

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ০৩:১০ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ০৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ইশতিয়াক রুপুর ছড়া

১. জমানায় ফিট

 

না মানিলাম শরিয়ত নামা

আদেশ নিষেধ রাসুলের

লেখা বলায় দেই যে মিসাল

তকমা যে মোর লেখকের।

 

লাভ থাকিলে সালাম আদাব

তলে তলে যোগাযোগ,

চলা ফেরায় পথিক মূষিক

সময় কালে যোগ বিয়োগ।

 

হাল জমানার সঠিক পুরুষ

এই সময়ের চ্যাম্পিয়ন

মালের সুবাস যদি মেলে

অসময়ে আপ্যায়ন !

 

তালে চলুক কালের কল

হিসাব কিন্তু বরাবর,

না থাকিলে লাভের অঙ্ক

বাদ পড়ে যায় মনোহর!

 

 

২. পাই বা না পাই

 

লাগ ভেলকি লাগ

চোখে মুখে লাগ

কার কপালে জুটবে

আজি দলের গুড লাক।

 

কেউ করেন শিন্নী মানত

কেউ বা কানেকশন

কেউ বা আশা করেন

হবে মূল্যায়ন।

 

কেউ আবার ভাবেন নাকি

পেলে হবে ভালো

না পেলে নাই যে ক্ষতি

দখল নিছি খালো।

 

উপর তালার আশীর্বাদে

খাইছি পাথর বালু

আরো পাইছি ব্যাঙ্ক ভর্তি

হাজার নোটের আলো।

 

রেষ্টে যাবো কয়টি বছর

গুছিয়ে নিতে অর্জন

বাসায় বসে কানেকশনে

টবে লাগাই গর্জন।

 

 

 

৩. ইমোজি

ইমোজিতে কাজ চলে

জমে যায় ফেইসবুক

সত্যবাবুর প্রশ্ন শুনে

ফেইসবুকে টুক টুক।

 

কথা সব সত্য বটে

সমজে নেয়া শক্ত,

অতীতে ছিলেন কিনা

সিরিয়াস এক ভক্ত।

 

সেই দিন কালো রাত

হঠাৎ শুরু হট বাত

তা নিয়ে শুরু হলো

মায়া প্রেম হলো কাত।

 

সায় পেয়ে উপরের

কেউ নামে ময়দানে

পঁচা কটু বাতচিত

এলো কারো জবানে।

 

কলম চলে রাত দিন

কদর আলি সদা হাসে

ক্যাচ ক্যাচ শব্দ হয়

দুই বাঁশ প্যাঁচে ফাসে !

 

সব দেখে বাকহীন

সবুর করো কটাদিন

আসছে ফিরে নতুন দিন

তাল বাজবে তা ধিন ধিন।

 

৪. কি দেখলাম রে ভাই !

 

দুই আঁতেলের পালা গান

দুজন ছাড়েন বাক্যবাণ,

তেড়ে আসেন রাগের মাথায়

ওরা দুজন নেতার খাতায়।

 

কেউ বলেন তুই বেয়াদব

চিনিস নাকি মোরে ?

কোথা থেকে এসে গেলি

আকাশ পাতাল ফুড়ে।

তৈরী করি নেতা যাদব

আরো বানাই কমিটি

সালাম ঠুকে জিজ্ঞেস করে

দল করবো কোনটি ?

 

যুবক গোটান কথার হাত

নাই বা ছিলো পেঠে ভাত

 

বোকা শুন তোর কাহিনী

না থাকিলে নিজ বাহিনী,

হিসাব নিকাশ হলে পরে

না ফুটিবে মুখে বানী।

না থাকিবে পদ পদবী

হাঁড়ির তলার রঙ হবে,

তেল তেলে এই মুখখানা

না ডাকিবে লিডার নেতা

বাঁচতে হলে ভিসা বানা।

 

 

৫. প্রিয়তা

 

কত লিখি কত শিখি

যার নাইকো শেষ

বাক্য গঠন যা তা

রুপ সজ্জায় বেশ।

 

লেজে আছি সেজে থাকি

জীবন চলে নগদ বাকি,

লাগছে ভীষন ভালো

তিনিই মোদের আলো।

 

দলে থাকি জলে থাকি

আছি সংখ্যা দশে

বন তাবিজে দশের দলে

আছি সবাই বশে।

 

দাম আছে নাম আছে

লিখি নাকি বেশ,

নগর জুড়ে বলে সবাই

গুতো মারবে মেষ।

 

 

৬. বাজান ঢোল সকল কাজে

 

আয়গো সখি গিয়ে দেখি

রঙ্গ মেলার কাজ কারবার

মঞ্চে উঠে মাইক হাতে

হেসে বলে নমস্কার !

 

পাশের দিদি দেয় না সময়

জোরে বলে,বন্ধ কর সমাচার।

হৈ চৈ আর হট্টগোল,

মান সম্মান পুরো পাংচার

 

অতিথিরা জিজ্ঞেস করেন

হলো কি শুরু? আজ আবার !

বোদ্ধা কিছু নানা সাজে

বাজান ঢোল সকল কাজে

তারাও ছিলেন আসনে

এবার নাকি শুধুই শ্রোতা

নাম ছিলো না ভাষনে।

এতো সবের পরেও বলেন

আমরা সবাই বাঙ্গালী,

আদেশ নিষেধ তাদের হাতে

বাকিরা সব গরীব কাঙ্গালি।

 

 

৭. বিজ্ঞজন

 

থাকে পকেটে চড়ে শকটে

জ্ঞানীর বেশে চলে

পরের কথা ধার করে

জ্ঞানের কথা বলে।

 

থলি শুন্য গলি শুন্য

শুন্য উপর তলা

বোকার মত হামলে পড়ে

চড়া করে গলা।

 

বিজ্ঞ জনের ভাব ধরে

অভিনয় করে বেশ

ভাবখানা ভীষন জ্ঞানী

জানার নাইকো শেষ।

 

উপকারে সবার জন্য

হুকুম পেয়ে রেডি

জ্ঞানের বহর সঙ্গে সদা

জোড়ায় জোড়ায় লেডি।

 

 

৮. ভালো কাল

 

পথের পাশে গোলাপ চাষ

হও তুমি জলোচ্ছ্বাস

তোমার ছোঁয়ায় গল্প শুরু

আয়নাবাজীর স্বর্গ বাস !

 

বর্ষা খুঁজে ময়ূর কদম

কাম ঝরনায় শুদ্ধ জল

ছেঁড়া পত্রে কুকুর শাবক

দিন শেষে সুখের অতল।

 

আলো ছায়ায় রোদ খেলে

স্থির থাকে শিশুর বোল

জন্মে ছিলাম গত শতক

সেথায় দেখি সবাই গোল।

 

চিলেকোঠায় চৌকা ঘুড়ি

স্মৃতির লতায় বুনো ফুল

বাঁচার আশায় পুরুষ শামুক

স্মরন করে প্রেমের বোল।

 

বুনো পথে মেঘের আকাশ

নীরব ভোরের উষার আলো

নিজের দিকে তাকিয়ে দেখি

আছি আমি ভীষন ভালো।

 

 

৯. কখনো শহর দুলে

 

ঝরাপাতায় ঢাকা রোদ ঝলমল পথ বাগান

ধরা-বাঁধা নকশা জীবন পূর্ন হৃদয় শূন্য লাজ।

উজাড় করা খড়ের চালে ছায়া ভরা লাল হলুদ

চন্দ্রাবতি দিঘির জলে ঝাঁপ অতলের অদ্ভুত ।

কষ্ট খুঁজে গোপন গলি অশ্রু খুঁজে নীরবতা,

মোড়ের কোনে লাল বাড়িটি আড়াল করে আইভিলতা।

পাতার বাঁশী কার হাতে? আড়াল হয় কালো মেঘে,

কোন গাঁয়ে জ্বলতো উনুন পাঁজর ব্যাথায় মা জেগে।

মীরার বুকে জল কলকল জীবন ছিটায় কলের জল,

সময় হাওয়ায় শহর দুলে দিনের শেষে রাত বদল।

আশা মায়ার দাহন কালে জীবন খুঁজে কুপিবাতি

জল মোহনার স্পর্শ পেতে কে হবে আমার সাথী।

তুচ্ছ নদী বিশাল সাগর কেনো আজো স্বপ্ন হয়

আমি শুনি তারই ডাক যে আমারই কষ্ট সয়।

 

 

১০. অভিবাসীর গান

 

নির্ঘুম শহরে

ছুটে চলি দিন রাত,

সুখের খোঁজে যায় হারিয়ে

ঘড়ির কা

শেয়ার করুন