নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অতিরিক্ত মোবাইলের ব্যবহারে বাড়ছে বিপদ, মেরুদণ্ড-ঘাড় বেঁকে যাবে অচিরেই যদি না এখনই সচেতন হন

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০৬:২১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০৬:২১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
অতিরিক্ত মোবাইলের ব্যবহারে বাড়ছে বিপদ, মেরুদণ্ড-ঘাড় বেঁকে যাবে অচিরেই যদি না এখনই সচেতন হন

আজকাল সকলেই মোবাইলে আসক্ত। জন্মের মোটামুটি ৬-৭ মাস পর থেকেই শিশুদের মোবাইলের প্রতি একটা আসক্তি জন্মায়। কোভিডের পর থেকে বড়রাও ভীষণ রকম মোবাইলে বুঁদ। দিনের বেশিরভাগ সময়ে মোবাইল ফোন যতক্ষণ হাতে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ঘাড় সামনের দিকে হেলে থাকে। একটানা এভাবে ঘাড় সামনের দিকে ঝুঁকে থাকে বলে মেরুদণ্ড বেঁকে থাকে। এভাবে মেরুদণ্ড সংকুচিত হতে থাকলে এবং একই ভাবে ফোন হাতে বসে থাকলে শরীরের অনেক জায়গায় ব্যথা হতে পারে। এই সমস্যায় এখন সকলেই ভুক্তভোগী। আর এই সিনড্রোমকে বলা হয় ‘টেক্সট নেক সিনড্রোম’। মেরুদণ্ডের জয়েন্টে বার বার এভাবে চাপ পড়তে থাকলে হার্নিয়েটেড ডিস্ক, স্নায়ুর উপর বিশেষ চাপ পড়ে।

সেখান থেকে বাকি অন্য সমস্যা আসে। পিঠের উপরের অংশে তীব্র ব্যথা, ক্র্যাম্প ধরা, কাঁধ শক্ত হয়ে যাওয়া এসব খুবই সাধারণ লক্ষণ। শুধু তাই নয় চাপ পড়ে আমাদের সার্ভিকাল নার্ভের উপরেও। যে কারণে একটা চিনচিনে ব্যথা ঘাড় থেকে শুরু হয়ে হাত, আঙুল পর্যন্ত চলে আসে। অনেক সময় ব্যথা এমনই হয় যে মনে হয় ইলেকট্রিক শক লেগেছে। এই সমস্যা সার্ভিকাল রেডিকুলোপ্যাথি নামে পরিচিত। যাঁরা সারাক্ষণ ঘাড় নামিয়ে একটানা কম্পিউডার, ল্যাপটপে কাজ করেন তাঁদের ক্ষেত্রেও হতে পারে এই সমস্যা।

ঘাড়ের পেশী শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণেই ঘাড় একদিকে বেঁকে যায়। মোবাইল নিয়ে বসে থাকার সময় বা ল্যাপটপে কাজ করার সময় আমাদের বসার ভঙ্গীমা একেবারেই ঠিক থাকে না। সেই কারণেই ঘাড়ে চাপ পড়ে সেখান থেকে স্লিপড ডিস্কের সম্ভাবনাও তীব্র হয়। ঘাড়ে ব্যথা হলে সেখান থেকে স্নায়ুর উপর চাপ পড়বেই। সঙ্গে হাতে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পা মুড়ে বসতে না পারা এগুলোও থাকে। ঘাড় শক্ত হয়ে বেঁকে যাওয়া, কোমর ব্যথার সমস্যা নিয়ে প্রতি মাসে অন্তত ৫০ জন রোগী আসেন চিকিৎসকের কাছে।

শেয়ার করুন