নিউইয়র্ক     রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৩ হাজার মানুষের এক ডাক্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৩ | ১১:২১ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ | ১১:২১ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
১৩ হাজার মানুষের এক ডাক্তার

ডাক্তার আলেনা ইয়াপ। লোকমুখে যার আরেক নাম ‘লেডি ডাক্তার’। মাত্র ২৮ বছর বয়সেই স্বেচ্ছায় কাঁধে নিয়েছেন ১৩ হাজার মানুষের সেবার ভার। গল্পটা ফিলিপাইনের সুলু সাগরের মাঝখানে আটকে থাকা আগুতায়া দ্বীপপুঞ্জের। যেখানে ১৩ হাজার বা তারও বেশি মানুষের বাস। আধুনিক চিকিৎসাসেবা থেকে শত শত মাইল দূরের দ্বীপ আগুতায়ায় একাই এসেছিলেন এই ‘লেডি ডাক্তার’। আলেনার আগে-পরে আর কোনো ডাক্তারেরই পা পড়েনি সেখানে। ৩ বছর ধরে তিনিই এই অঞ্চলের মধ্যমণি। একমাত্র ডাক্তার। দ্বীপাঞ্চলের কাছে-দূরের সব দ্বীপবাসীর কাছেই আলেনা এখন ‘ইশ্বরসম’। বিবিসি।

ডা. আলেনা করোনার ঠিক আগে আগে আসেন এই দ্বীপপুঞ্জে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তখন তার বয়স ছিল ২৬। অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও ব্রিটেনে কেরিয়ার খোঁজার পরিবর্তে একটি সরকারি প্রোগ্রামে স্বেচ্ছায় যোগ দিয়েছিলেন। সেই পথেই এখানে আসা। তিন বছরের একটি চুক্তিতে তিনি এখানে আসেন।

করোনাকালে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ভ্যাকসিন দিয়ে আসতেন। মহামারি পরিস্থিতে মৃত্যুর হুমকির সঙ্গে কীভাবে বাঁচতে হয় হাতে ধরে ধরে তা শিখিয়েছেন তিনি। দূরতম দ্বীপগুলোতেও ছুটে যান আলেনা। কারণ অসুস্থতা সত্ত্বেও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে তার কাছে আসতে পারত না দূরের দ্বীপের বাসিন্দারা। নিজে গিয়ে তাদের দেখে আসতেন। ‘নতুন (করোনা) বা পুরাতন’ সব রোগের সঙ্গে লড়াইয়েই রোগীদের পাশে থেকেছেন।

ডেঙ্গি, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক থেকে শুরু করে সব রোগের চিকিৎসায় মানুষকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে ফিলিপাইনের এ দ্বীপপুঞ্জে চিকিৎসা সামগ্রির সুব্যবস্থাপনা না থাকায় হতাশাও প্রকাশ করেছেন আলেনা। বলেছেন, যাতায়াতের সেবা ও স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রি নিশ্চিত করতে পারলে চিকিৎসাসেবা আরও ফলপ্রসূ হবে।

তিন বছর পর সরকারের সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুষড়ে পড়েন দ্বীপবাসীরা। ভালোবেসেছিলেন আলেনাও। কিছুদিন পর একটি এনজিওতে যোগ দিয়ে একদল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার ফিরে আসেন আগুতায়ায়।

শেয়ার করুন