নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৈয়দ কামরুল

দৃক ট্রাজেডি

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৩ | ১১:৪৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৩ | ১১:৪৫ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
দৃক ট্রাজেডি

চোখ হারালে চেনা জগৎটা হারিয়ে যায়। রুদ্ধদৃষ্টির সামনে আগের মতো আর কেউ আসে না। জানালার শার্শিতে নিঃশব্দ কাঠবিড়ালীর মতো নাচেনা সকালের রোদ। কাশফুল লেজের মতো ছোটে না চপল রৌদ্রছায়া। চোখের ওপারে নীলসাদা আকাশের আলো-সায়রে ভেসে যায় চাঁদের নাও। প্রতিটি দৃষ্টিহীন মানুষ ফিরে পেতে চায় তার চোখজ্যোতি। এথেনা অভিশাপ দিয়ে টাইরেসিয়াসকে অন্ধ করে দিয়েছিল।টাইরেসিয়াস এর মা ক্যারিক্লো তার পুত্রের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে এথেনার কাছে সনির্বন্ধ প্রার্থনা করেছিলেন। ক্যারিক্লোর প্রার্থনারমতো প্রতিটি অন্ধ মানুষের প্রাণে ঝরে পড়ে তার চোখজ্যোতি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রার্থনা।

চোখ হারানো মানুষের চোখের সামনে পার হয়ে যায় কুয়াশার ওপারে আবছা ছবির মতো রাত্রি দিন। ধুলোর বলয়ে বেস্টিত চাঁদওঠে, তমাল তিমির রোদ ওঠে। মেঘলা আকাশ ঝরে অঝোর মেঘ মল্লার। বারান্দা ও ঘরে ভাঙা চেয়ারের মতো আন্ধারে পড়েথাকে গৃহকোণবন্দী সারাবেলা। একেলা কাটে তার ‘অতিদূর সমুদ্রের পর হাল ভেঙ্গে’ দিশা হারানো নাবিকের মতো বিপন্ন দিন।নিজের ভূগোলে সে নিজেই জেগে ওঠে স্রোতের মধ্যে একখন্ড ভূমির মতো অসহন দ্বীপ। কেউই তার নৈকট্য চায় না আর আগেরমতো।

চোখ হারালে তার নাম বদলে যায়। কেউ তাকে বলে অন্ধ, কেউ বলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধ। কেউ বলে ‘লিগ্যাল ব্লাইন্ড’। কেউ বলে সম্পূর্ণ ভিজ্যুয়ালি ইম্পেয়ার্ড, আংশিক ইম্পেয়ার্ড।
বিচিত্র সব ব্লাইন্ডনেছ অনাম্যাস্টিক্স! লোকেরা অন্ধত্বকে বাইনারি হিসাবে মনে করে — হয় আপনি সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন না হয়সম্পূর্ণ অন্ধ। সত্য হল লিগ্যাল ব্লাইন্ডনেছ এর পরিধিতে অন্ধ হওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন এবং সম্পূর্ণঅন্ধের মধ্যে শুধু দৃষ্টিশক্তির একটি বৃহৎ পরিসরই নয়, সেই পরিসরের মধ্যে অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে।

লেখকের দৃষ্টিহীনতা মানে লেখকের বিরুদ্ধে ‘ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড ইন্টেলেকচ্যুয়াল ডেথ সেন্টেন্স’ ঘোষনা। যে চোখের বিরুদ্ধে নামেএই মৃত্যু পরোয়ানা, সে চোখ পরে নেয় দৃষ্টিভূক কালো হুড। গ্রীক ট্রাজেডির মতো নিয়তি লেখে দৃক ট্রাজেডি। কবি, লেখক ও চিত্রশিল্পীর চোখ হারানোর অভিঘাত হয় তীব্রতর। চোখ হারিয়ে গেলে কবির বলপয়েন্ট আগের মতো গড়ায় নাকাগজে। তার চোখের মতোই কলম, ঝর্ণা কলম পড়ে থাকে নিশ্চল। জলের ঘুর্ণির মতো অক্ষরের স্রোত মগজের কোষকলায়ঘুরতে থাকে অপ্রকাশের ঘূর্ণাবর্ত।কালার হুইলে চিত্রকরের চোখ খুঁজে পায় না প্রিয় রং।

আধুনিক কবিতায় অসংখ্য রচনায় অন্ধত্ব দেখা মেলে বিশেষ করে শেক্সপিয়র, উইলিয়াম ব্লেক এবং ওয়েলস এর লেখায়।ট্রাজেডিতেও দৃষ্টিহীন প্রোটাগনিস্ট এর দেখা মেলে। আমরা দেখি ট্রাজেডিয়ান সফোক্লিসের নাটক ইডিপাস রেক্স ট্রাজেডিতে। দৈবদুর্বিপাকে রাজা অয়িদিপাস নিজেকে অন্ধ করছেন জানবার পর তিনি পিতৃহন্তারক ও মাতৃগামী। অপরিসীম লজ্জা, ক্ষোভ ওঅপরাধবোধে নিজের চোখ তিনি উপড়ে ফেললেন। তাতে কি হলো! তিনি আর দেখতে পেলেন না পৃথিবীকে কিন্তু পৃথিবী দেখলতাকে। দুটো চোখ উপড়ে ফেললে কি অন্ধ করা যায় মনশ্চক্ষু! চোখ হারালে কবি খোঁজে নতুন চোখের মানুষ।নতুন চোখের এক পাঠক এসে দৃষ্টিহীন কবিকে পড়ে শোনায় কাগজ। একজনঅ্যামানুয়েন্সিস (amanuensis) এসে লিখে দেয় কবির অন্তর্লোকের স্রোত। আল মাহমুদ জীবনের শেষ বছর গুলো এভাবেকাটিয়েছিলেন। একবার ভেবেছিলাম যাই, আমি তাঁর অ্যামানুয়েন্সিস হয়ে লিখি গিয়ে আরেকটি সোনালি কাবিন। চেয়েছিলাম তিনি লিখতেথাকুন ওয়াল্ট হুইটম্যানের লিভছ অব গ্রাস এর মতো সোনালি কাবিন অবিরত। লিখুন এজরা পাউন্ডের মতো বিস্তৃত ক্যান্টন।

কবি শামসুর রাহমান আরোগ্য অসম্ভব চোখের অসুখ গ্লুকোমায় আক্রান্ত হয়ে কাটিয়েছিলেন জীবনের শেষ বছরগুলো আংশিকচোখজ্যোতি নিয়ে। শামসুর রাহমানকে নিউ ইয়র্ক থেকে একজন কাগজ মালিক গ্লুকোমার জরুরী ওষুধ পাঠাতো। শামসুর রাহমান সেই কাগজ মালিককে কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর একটি গ্রন্থ। সেটা দেখে নিউ ইয়র্কেরকবিযশোপ্রার্থী একজন সেই কাগজ মালিকের কাছ থেকে শামসুর রাহমানকে গ্লুকোমার ওষুধ পাঠানোর ইজারা চেয়ে নিয়েছিল।এ যেনো কবির কাছ থেকে বর পাওয়ার জন্য পরিষেবা এজেন্সির হাত বদল। শামসুর রাহমান কৃতজ্ঞতা জানাতে সেই নাদানের নামে লিখেছিলেন একটি কবিতা। কবির গ্লুকোমা নিয়ে যশোপ্রার্থীদের খ্যাতিবানিজ্য চলেছিল এভাবে। ভাবলে ঘৃণা জাগে তাদের জন্য।

‘নভেল অব দ্য সেঞ্চুরী’ ইউলিসিস এর লেখক জেমস জয়েস চোখ হারিয়েছিলেন। ‘অন্ধজনে দেহো আলো, প্রেম সলিল ধারেসিঞ্চহ শুষ্ক নয়ান’ পঙক্তির মেলোডি ঝরেছিল জয়েসের চিত্তে। ইউলিসিস উপন্যাসের প্রধান চরিত্র প্রায় ইনসেন লিওপোল্ডব্লুমকে দেখা যায় অপরূপ মমতায় ডাবলিনের রাস্তা পার করে দিচ্ছে উপন্যাসের অন্ধজন চরিত্রকে। ডাবলিনের রাস্তায় নিলাজঅপকম্মো করে বেড়ানো ব্লুমের মধ্যে পাঠক চোখ হারানো জয়েসের ভেজা চোখকে দেখতে পায়। ভাবছিলাম পর্তুগীজ লেখক নোবেল লরিয়েট হোসে সারাগামো’র উপন্যাস, ব্লাইন্ডনেছ এর সেই চরিত্রটির কথা যে রেড লাইটেগাড়ির স্টিয়ারং এ বসে অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কি মর্মস্পর্শী একটা লম্বা বর্ণনা লিখেছে সারামাগো! অজ্ঞাত এক চোখসন্ত্রাস ভাইরাস সেই শহরটাকে অন্ধ করে দিচ্ছিল চোখের পলকে। ব্লাইন্ডনেস উপন্যাসের সেই অকস্মাৎ দৃষ্টিহারানো মানুষটাকে একজন লোক ড্রাইভ করে তার ফ্লাটে পৌছে দিয়েছিল। লোকটার মহানুভবতা দেখে গর্বিত হতে না হতেই বাজপড়লো! লোকটা অন্ধ হয়ে যাওয়া মানুষটার গাড়ি নিয়ে হাওয়া !

আমাদের বানিজ্যবাজ ফিলানথ্রোপদের মতো !

ভাবছিলাম হোর্হে লুইস বোর্হেস এর কথা। উত্তর পঞ্চাশে এসে তাঁর দৃষ্টিহীন হয়ে পড়ার কথা। চোখ হারানো লেখক-জীবন কতোনা কষ্টের, কি রকম ধীরুজ গতি খুড়িয়ে চলেছিল তার লেখক জীবন। বোর্হেসের সতের বছর সময় লেগেছিল একটি উপন্যাসলিখতে। তিনি দমে যান নি তাতে।বোর্হেস তাঁর অন্ধত্বকে দৈবদুর্বিপাক বা হৃদয়দীর্ণ করা কোনো ফেনোমেনন ভাবেন নি। তিনিভেবেছিলেন এটাও জীবনের একটা সুন্দরতা। যেমন আমরা স্পেশাল চাইল্ডকে বলি ‘বিউটি অব দ্য ফ্যামিলি’ চাইল্ড। ভাবছিলাম মিল্টন এর দৃষ্টিহীন হয়ে পড়ার কথা। দৃষ্টি হারিয়ে মিল্টন একটুও দমে যান নি। নিজের উপর প্রচন্ড নির্ভরতা ছিল।মোমের আলোয় লিখে গিয়েছিলেন বছরের পর বছর সম্পূর্ণভাবে দৃষ্টিহীন হওয়ার আগ পর্যন্ত। এ যেন মোমের আলো আর তারচোখ ক্ষয়ে যাচ্ছিল আলোহীনতার ঐকতানে। প্যারাডাইস লস্ট এর মতো দীর্ঘ এপিক তিনি লিখেছিলেন দৃষ্টিহীন দিনগুলোতে।তাঁর “টু বি ব্লাইন্ড ইজ নট টু বি মিজারেবল; নট টু বি অ্যাবল টু বেয়ার ব্লাইন্ডনেছ, দ্যাট ইজ মিজারেবল” — এই বাণীর পরাক্রমতাঁকে এগিয়ে নিয়েছিল মহান অর্জনের দিকে। তাঁর বাবা ও নেফিউ অ্যামানুয়েন্সিস হয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে লিখেযেতে।

ভাবছিলাম আমার বাবার কথা যিনি জীবনের শেষ দশ বছর বেঁচেছিলেন গ্লুকোমায় দৃস্টি হারিয়ে। গ্লুকোমা রোগও ক্যান্সারের‘ডেইজ আর নাম্বারড” এর মতো। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি নাইপলের বাবার মতোই চিৎকার করে বলেছিলেন, আমি কিছুদেখতে পাচ্ছি না। বাবার সংগে আমার শেষ কথা, তুই কতো বদলে গেছিস তা আমি আর দেখতে পাবো না। আমি কতোটাবদলে গেছি সেটা তুই দেখতে পারবি। আয়, দেখে যা! প্রায় জন্মান্ধ লেখক সাংবাদিক ভেদ মেহতা অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখতে পেতো চারপাশের রূপ! রূপের উপরিভাগ ভেদ করে ঢুকে যেতেপারতো রূপের গহীনে। গোয়ানিজ-ইংলিশ কবি প্রতিভাবান ডম মোরেস একবার ভেদ মেহতাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিল নেপালেরসৌন্দর্য দেখতে। কবির চোখে নেপালের শ্বাসরুদ্ধকর নিসর্গ সৌন্দর্য দেখেছিল ভেদ!

কবির চোখ দিয়ে দেখা রূপাবলী শব্দে, চিত্রে ও কাব্যিক সংগীতে কম্পোজ করে পৌছে দিয়েছিল পাঠকের কাছে। কি আশ্চর্য! চক্ষুস্মান মানুষেরা পায় না দেখতে নিসর্গসুন্দর দৃষ্টিহীন ভেদ মেহতার মতো করে। পারে না রূপের রূপারোপ করতে। শুধু অন্তরেরচোখ আর আবেগ থাকলেই হয় না; চাই মেধা। ভেদ ও ডমের সেটা ছিল বৈকি ! শিল্পকলার অনেক বড়মাপের শিল্পীদের ছিল লো-ভিশন, ইম্পেয়ার্ড ভিশন যেমন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ছিলেন স্ট্রাবিসমাসআক্রান্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অন্ততঃ তাত্ত্বিকভাবে তাই। তবে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, চোখের জ্যোতিচ্যুতি স্ট্রাবিসমাস দ্য ভিঞ্চিকেত্রিমাত্রিক দৃশ্য অনুবাদ করতে সাহায্য করেছিল। ইম্প্রেসিনিজম এর জনক ক্লদ মোনে ক্যাটারঅ্যাক্টে ভুগেছিলেন। রং গুলোকেআর আসল রংয়ে চিনতে পারছিলেন না। একটা সময় তিনি লালকে মাডি বা কর্দমাক্ত দেখতে শুরু করেছিলেন। রংয়ের তীব্রতাক্ষয়ে গিয়েছিল তার চোখে। রংকে রংয়ের আসল চেহারায় দেখতে না পেলে চিত্রকর বিমর্ষ হয়ে যায়।

আমার চোখের ডাক্তার, নিউ ইয়র্কের একজন খ্যাতি ধারাবাহিকতার উত্তরাধিকার। তার বাবা ও ভাই খ্যাতিমানঅপথালমোলজিস্ট। এবারের দেখায় ঘন্টা দুয়েক চোখের সামনে, পিছনে ও অতল গহনে লেজার আলো ফেলে দেখলো। সুক্ষ্মঅবলোকনের পর জানালো, আমার ক্লোজ-অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমার ইঙ্গিত মিলেছে। মজা করে বললাম, কতো আলোবর্ষ দূরে, ডক! আমি জিনিওলজিক্যালি আমার বাবার রেপ্লিকা। ফরেস্টহিলস থেকে ফিরতে ফিরতে ভাবছিলাম আমি এতোদিন কি মহার্ঘ দৃশ্য দেখিনি দুচোখ ভরে মগ্নমন। কি আমার দিদৃক্ষা! কী আমি দেখতে চাই দুচোখ ভরে। ক্যাটারঅ্যাক্ট এর মেঘ চোখের আকাশকে ঢেকে ফেলার আগে তোমার ছবি দুচোখে পরতে চাই। গ্লুকোমার কুয়াশা চোখের রোদকেঢেকে ফেলার আগে তোমার রূপ দেখতে চাই যে নেত্রে টাইরেসিয়াস দেখেছিল এথেনার নগ্ন স্নান নীল লাগুনের জলে। তুমি তোএথেনা নও; তুমি আমার রোজ সকালের রোদ— গাছের যেমন সালোকসংশ্লেষণ। স্নিগ্ধতমা, সকালের রোদের মতো তোমাকে দেখতে চাই। মাঘী পূর্ণিমার মতো দেখতে চাই। তোমার পায়ের পাতায় দেখতে চাইটিউলিপ পাপড়ি। হাত ও পায়ের নখে পীজন-ব্লাড লাল রংয়ের রুবী জেম।

কালার হুইল নিয়ে খেলিনি শিল্প খেলা। বুঝি না রঙের ওয়েভলেংথ, রঙের ফ্রিকোয়েন্সির গনিত। বুঝি না রঙের জ্যামিতি।জানি না কতোটা কমলা করে স্কারলেট, কতোটা নীল বা ভায়োলেট মেশালে লালের নাম হয় ক্রিমসন, কেমন করে দ্যুতি ঝরেখনিজ সিনাবার থেকে, কতোটা স্কারলেট বানায় ভার্মিলিয়ন। জানি না কবে তুমি কার্নিসে বসবে এসে লাল কার্ডিনাল পাখিরঝুটি। নাকে ঘসে কার্ডিনালের ডানা, গ্রীবা ও ঝুটি থেকে শুষে নেবো তার তাবৎ লাল রং। তোমার লালের প্রক্সিমাল স্টিমুলি ‘আলোকের ঝর্ণা’ আমার রেটিনা দখল করে আছে —ছুঁয়েছে ‘অরুণ আলোর সোনার কাঠি’।তোমার শরীর কবিতা ক্যানভাসে রেখেছি চোখ। বলতে পারি, “মাই পারপেচুয়াল ডিফেন্স ইজ, আই সী হোয়াট ওয়ান্টেড টু সী ইনইউ।” লাল, তুমি আমার চিরকালের আরাধ্য লাল। পান্না যে রংয়ে সবুজ, লাল তারই রঙে হয়েছে লাল তোমাতে। ক্লদ মোনে লালকেকর্দমাক্ত লাল দেখে যে রকম বিমর্ষ হয়েছিল, তেমন হওয়ার আগে লাল ঝুটি কার্ডিনালের মতো তোমার মায়াবী মুখখানি দেখিবারে চাই।

এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন