নিউইয়র্ক     শনিবার, ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডায়াবেটিস : ১০টি প্রয়োজনীয় তথ্য

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৩ | ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ | ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ডায়াবেটিস : ১০টি প্রয়োজনীয় তথ্য

ডায়াবেটিসের সঙ্গে পরিচিত নন, এমন কাউকে বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে এখনও ডায়াবেটিস সম্পর্কে অনেক তথ্যই আমাদের অজানা। আসুন এক নজরে দেখে নিই –

কারও কারও ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস খুব ছোট বয়সেই ধরা পড়ে। আবার কারও ক্ষেত্রে মাঝবয়সে কিংবা তারও পরে ডায়াবেটিস হতে পারে। ছোট বয়সে যে ডায়াবেটিস হয়, তা সাধারণত টাইপ ১ ডায়াবেটিস (ইনসুলিন ডিপেনডেন্ট ডায়াবেটিস)। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা সাধারণত রোগা এবং অল্প বয়সী হন। টাইপ ২ ডায়াবেটি আক্রান্তরা অন্যদিকে মোটা হন। তবে কোনো কোনো টাইপ ২ ডায়াবেটিস পেশেন্ট রোগা-পাতলা হতেই পারেন। আপনার ডাক্তার যদি মনে করেন আপনার ইনসুলিনের প্রয়োজন আছে, তা নির্দ্বিধায় মেনে চলুন।

– রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে নিয়মিত হাঁটুন।

– মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সাবধান। কারণ এতে আপনার প্যানক্রিয়াস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্যানক্রিয়াস বিটা সেল (যেখান থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ হয়) বেশি মিষ্টি খেলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

– উচ্চতা কম হলে অল্প ওজন বাড়াও ক্ষতিকর। উচ্চতা তো আপনি বাড়াতে পারবেন না, সে ক্ষেত্রে ওজন কমানোর দিকে নজর দিন।

– ওজন কমানোর জন্য জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ফুড হ্যাবিটসে পরিবর্তন আনুন।

– সেসেড খাবাব যেমন– নুডলস, বিস্কুট, চিপস এড়িয়ে চলাই উচিত।

– দিনে ১০ হাজার স্টেপস হাঁটুন। যে কোনো ফিটনেস ট্র্যাকার দিয়ে দিনে কতটা হাঁটলেন তার ওপর নজর রাখতে পারবেন।

– ডায়াবেটিসকে বলা হয় সাইলেন্ট ডিজিজ। অন্য কোনো কারণে রক্ত পরীক্ষা করার সময় হঠাৎই ধরা পড়ে বা ডাক্তারের কাছে হয়তো আপনি অন্য কোনো কারণে গেছেন, তার সন্দেহের কারণে রক্ত পরীক্ষা করাতে হলে হয়তো জানতে পারবেন আপনার ডায়াবেটিস আছে।

– অনেক সময় ডায়াবেটিসের টেস্ট নির্দেশক হিসেবে ইউরিন গ্লুকোজেকে ধরা হয়; কিন্তু এটা ঠিক নয়। রক্তে সুগারের পরিমাণ খুব বেশি না থাকলে (১৮০ এমজি বা ডিলের বেশি) ইউরিন টেস্টের মাধ্যমে ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। সুগারের পরিমাণ কম থাকলে ইউরিন গ্লুকোজ টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।

– যেহেতু ডায়াবেটিস সাইলেন্ট ডিজিজ, তাই চুপচাপ, শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষতি করতে পারে। চোখ, নার্ভ, কিডনি সবই এই অসুখে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই চিকিৎসা এবং ফলোআপে গাফিলতি করবেন না।

সাথী / পরিচয়

শেয়ার করুন