নিউইয়র্ক     শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুমের মধ্যেও হতে পারে হার্ট অ্যাটাক

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৩ | ১০:২৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৫ মে ২০২৩ | ১০:২৮ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
ঘুমের মধ্যেও হতে পারে হার্ট অ্যাটাক

সাধারণ ধারণা হার্ট অ্যাটাক হয় খুব ভোরে। তবে হার্ট অ্যাটাক যে ঘুমের মধ্যেও হতে পারে তাও জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে আরও একটি নতুন এবং ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে হার্ট অ্যাটাক বেড়ে গেছে তরুণদের মধ্যে। সাধারণত যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, হার্ট অ্যাটাকের পারিবারিক ইতিহাস আছে এবং কিছুটা মোটা, তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি।

কীভাবে হয় হার্ট অ্যাটাক : হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ হলো হৃৎপিণ্ডে রক্তের জোগান দেয়া করোনারি ধমনির ভেতরে প্লাক বা চর্বি জমা। এটা একসময় ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়, আর রক্তের জমাট পিণ্ডের কারণে ধমনির পথে রক্ত চলাচল কমে বা বন্ধ হয়। একেই বলা হয় হার্ট অ্যাটাক।

ঘুমের মধ্যে কেন ? : আমরা যখন ঘুমাই, তখন আমাদের সব পেশি শিথিল হয়, এমনকি গলা আর ঘাড়ের পেশিও। ঘাড়ে পেশির বাহুল্য থাকলে চাপ ফেলে বায়ু পথের ওপর। আর তখনই একে ধসিয়ে দেয়। বায়ু পথ ধসে গেলে বাতাস যে পথ দিয়ে ফুসফুসে যাবে, তা সরু হয়ে যায়। তাই বাতাসের চলাচল অবাধ না হওয়ায় একে কষ্ট করে ধাবিত হতে হয়। তখন ভীষণ নাক ডাকে আর ঘুমের সময় সাময়িক শ্বাস রোধ হয়। প্রতি রাতে এমনটি কয়েকশবারও হতে পারে। আর তাই শরীরকে প্রতি রাতে অনবরত অক্সিজেন ঘাটতির ঝক্কি পোহাতে হয়।

ঘুমের সময় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হলো ‘অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ ডিসপিনিয়া’। সাধারণত রাতে ঘুমের সময় রক্তচাপ নেমে যায়। কিন্তু স্লিপ ডিসপিনিয়া থাকলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। প্রতিবার অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় রক্তচাপ বাড়ে আর এড্রিনালিন হরমোনের উত্থান হয়। এতে হার্টের ওপর খুব চাপ পড়ে। কারণ রক্তের চাপ স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে হৃৎপিণ্ডকে কঠোর শ্রম দিতে হয়। আর এই উচ্চ রক্তচাপের পরিণতিতে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো ঘটনা ঘটে।

ঘুমের অনিয়মিত সূচিও হার্ট অ্যাটাকের একটি কারণ। দুই-এক দিন ঘুম কম হতে পারে, কিন্তু অনবরত নির্ঘুম, অনিদ্রা এসব ভালো নয় হার্টের জন্য। তাই স্বাস্থ্যকর লাইফ স্টাইল, ভালো ডায়েট ও পর্যাপ্ত ঘুম খুব দরকার।

আছে কিছু পরামর্শ : অনিদ্রার জন্য ডিপ ব্রিদিং, ইয়োগা, হাত-পা ছোড়া, মেডিটেশন অত্যন্ত উপকারী। সঙ্গে রয়েছে নিয়মিত শরীরচর্চা, নিজেকে সচল রাখা, নিয়মিত নিদ্রা সূচি, ঘুমের বৈকল্য থাকলে চিকিৎসা ও নিয়মিত রোদ পোহানো লাগবে। এ ছাড়া অ্যালকোহল, চর্বি ও চিনিজাতীয় খাবার পরিহার এবং চা-কফি পান কমিয়ে দিতে হবে। আর এর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আরও কয়েকটি বিষয় হলো দুশ্চিন্তা কমানো। সাবেক অধ্যক্ষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ।
সুমি/পরিচয়

শেয়ার করুন