কিডনি রোগের কারণে একজন মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। তাই কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে সচেতন হলে কিডনির কার্যকারিতা ঠিক থাকতে পারে এবং জীবনযাত্রার মান ভালো থাকতে পারে।
কারণ :
ডায়াবেটিস : ডায়াবেটিস এই রোগের প্রধান কারণ। উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা কিডনির ফিল্টারিং ইউনিটগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা কিডনি রোগের দিকে পরিচালিত করে।
উচ্চ রক্তচাপ : উচ্চ রক্তচাপ সময়ের সাথে সাথে কিডনির ছোট রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
জেনেটিক রোগ : কিছু জেনেটিক রোগ, যেমন পলিসিস্টিক কিডনি রোগ, কিডনিতে অনেক সিস্টের বিকাশ ঘটাতে পারে।
সংক্রমণ : ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল সংক্রমণ কিডনিতে প্রদাহ এবং দাগ সৃষ্টি করতে পারে, যা কিডনি ব্যর্থতার দিকে পরিচালিত করে।
ওষুধ : কিছু ওষুধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক এবং নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
কিডনিতে পাথর : কিডনির টিউবকে ব্লক করতে পারে কিডনিতে পাথর, ফলে ক্ষতি হয় কিডনির।
অস্বাস্থ্যকর ডায়েট : একটি অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, যেমন প্রক্রিয়াজাত খাবার, লবণ এবং চিনির পরিমাণ বেশি ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
প্রাথমিক লক্ষণ : সাধারণত প্রাথমিকভাবে কিডনি রোগের তেমন কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় না। তবে রোগের প্রবণতা কিছুটা বাড়লে কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সেগুলো হলো : পা, গোড়ালি এবং পায়ে ফোলাভাব, ঘন ঘন প্রস্রাব করা, ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করা, মনোনিবেশ করতে অসুবিধা, বমি বমি ভাব, ত্বকের চুলকানি, পেটে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্ষুধা হ্রাস, মুখের স্বাদ হ্রাস, প্রস্রাবে রক্ত, প্রস্রাব গাঢ় লাল, বাদামী বা চা-রঙের মত, পিঠের পাশের নিচের দিকে ব্যথা ও উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি।
সাথী / পরিচয়