সৌদি আরবে খাদ্য ও পানীয়ের খরচের পাশাপাশি আবাসন, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং অন্যান্য জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার জানুয়ারিতে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আবাসন, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং অন্যান্য জ্বালানীর দাম ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে খাদ্য ও পানীয়ের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ।
আফগান বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নিষিদ্ধ: তুরস্ক ও সৌদি আরবের নিন্দা। দেশটির পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ গ্যাস্টেট বুধবার জানিয়েছে, নভেম্বরের ভোক্তা মূল্য সূচক ২ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে জানুয়ারিতে রেকর্ড ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতির হারের প্রধান চালক ছিল আবাসনের দাম। সৌদি ভোক্তাদের কাছে এর উচ্চ আপেক্ষিক গুরুত্বের কারণে এই খাতের প্রভাব ছিল ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ।’ এদিকে দেশটিতে খাদ্যের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ, মাংস ও হাঁস-মুরগির দাম ৬ দশমিক ১ শতাংশ এবং দুগ্ধজাতীয় পণ্য ও ডিমের দাম ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়াও পরিবহন মূল্য ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। গ্যাস্ট্যাটের মতে, ক্যাটারিং খরচ বৃদ্ধির কারণে রেস্তোরাঁ এবং হোটেলের দামও ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।
প্রি-স্কুল এবং প্রাথমিক শিক্ষার খরচ ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে শিক্ষার খরচ ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে, গৃহকর্মীদের নিয়োগের খরচ হ্রাসের কারণে ব্যক্তিগত পণ্য ও পরিষেবার দাম ০ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। এ মাসে পোশাক ও জুতার দামও কমেছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সংঘাত শুরুর পর থেকে খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের তীব্র বৃদ্ধির কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি তীব্রভাবে বেড়েছে।
শান্তির খোঁজে ৫৩ বিয়ে! আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ধারণা, সৌদির অর্থনীতি এই বছর ২ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। সূত্র: সাম্প্রতিক দেশকাল
