নিউইয়র্ক     রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারে

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ | ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ | ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারে

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফের কমেছে। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের আমদানি দায় বাবদ আকুকে ১২৮ কোটি ডলার (১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন) দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে গতকাল সোমবার আকুর এই দায় সমন্বয় করা হয়েছে। এতে বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসেবে তা দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে আকুর দায় বাবদ ১২১ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এবার দায় কিছুটা বেড়েছে। মূলত. এলসি খোলা আগের মাসগুলোর তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দায় বেড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ জানুয়ারি আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম ৬ পদ্ধতি অনুযায়ী তাদের কাছে গ্রস রিজার্ভের স্থিতি ছিল ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। এরপর আকু বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ এখন ২০ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসেবে ৩ জানুয়ারি রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। আকুর দায় পরিশোধের পর তা কমে ২৫ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।

উল্লেখ্য, আকু হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি আন্ত-আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিব্যবস্থা। এর মাধ্যমে এশিয়ার নয়টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রপ্তানি হয়, তা প্রতি দুই মাস পর নিষ্পত্তি হয়। তবে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়। আকুর সদস্যদেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ।

তবে দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সম্প্রতি এ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে শ্রীলঙ্কা। আকুর বাকি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে দুই মাস পরপর লেনদেনের অর্থ পরিশোধ করতে হয়। এসব দেশের মধ্যে ভারত পরিশোধের তুলনায় অন্যান্য দেশ থেকে বেশি ডলার আয় করে। বাকি দেশগুলোর অধিকাংশকেই আয়ের চেয়ে বেশি ডলার খরচ করতে হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, আকুর সদস্যদেশ থেকে যে পণ্য আমদানি হয়, তার মূল্য হিসেবে ব্যাংকগুলো প্রতি সপ্তাহেই বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার জমা দেয়। প্রতি দুই মাস পরপর ব্যাংকগুলোর পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ দায় পরিশোধ করে থাকে। তখন রিজার্ভ হঠাৎ কমে যায়, এরপর আবার বাড়ে।

শেয়ার করুন