চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে পিএসজি। বায়ার্নের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন পিএসজির সাবেক তারকা কিংসলে কোমান। শুরু থেকে দলে ছিলেন মেসি-নেইমার। বিরতির পর যোগ দেন চোট নিয়ে আলোচনায় থাকা এমবাপ্পেও। এরপরও বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হার এড়াতে পারল না ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল।
মঙ্গলবার রাতে পার্ক দে প্রিন্সেসে পিএসজিকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে বায়ার্ন মিউনিখ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ নিয়ে টানা তৃতীয় ম্যাচ হারল প্যারিসের এই ক্লাবটির। মৌসুমে পাওয়া পাঁচটি হারের স্বাদ বিশ্বকাপের পরই পেয়েছে তারা। অন্যদিকে সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা চার ড্রয়ের পর টানা চারটি ম্যাচ জিতে নিল বায়ার্ন।
পিএসজির বিপক্ষে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে বায়ার্ন। প্রথমার্ধে কেবল গোলটিই পাওয়া হয়নি জার্মানির এই ক্লাবটির। একের পর এক আক্রমণে মেসি বাহিনীদের কোনো সুযোগই দেয়নি তারা। তবে মেসি একাধিক আক্রমণ তৈরি করলেও, গোলের মুখ দেখেনি। ফিনিশিং নিয়ে অবশ্য ভুগতে হচ্ছিল বায়ার্নকেও। চাপ তৈরি করেও তাই পিএসজিকে বিপদে ফেলতে পারছিল না তারা। বার্য়ানের কিছু আক্রমণ দারুণভাবে রুখেছেন সের্হিও রামোসরা। বিপরীতে পিএসজি প্রথমার্ধে অনটার্গেটে শট নিতে পেরেছে মাত্র একটি।
পিএসজি প্রথমার্ধে তারা একমাত্র সুযোগটা পায় ৪৫ মিনিটে। ডি-বক্সের একটু দূর থেকে মেসির নেয়া ফ্রি-কিক অবশ্য ফিরে আসে রক্ষণভাগ থেকে। ফলে গোলশূন্য বিরতি টানে উভয় দল। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আধিপত্য চালায় পিএসজি। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে ওয়ারেন জায়ার-এমেরির ক্রস থেকে নেইমার বল ধরতে পারলে বিপদে পড়তে পারতো বায়ার্ন। তবে দারুণ ট্যাকলে ব্লক করেন দায়ত উপামেকানো। তিন মিনিট পরই বদলি খেলোয়াড় আলফান্সো ডেভিসের ক্রস থেকে ডি-বক্সে ফাঁকায় শট নেন সাবেক পিএসজি তারকা কোমান। বল গোলরক্ষক বরাবর থাকলেও ঠেকাতে পারেননি দোনারুমা। হাতে লেগে বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
এগিয়ে যাওয়ার পরও পিএসজিকে চাপে রেখে খেলতে থাকে তারা। ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে কার্লোস সোলের ও জায়ার-এমেরিকে তুলে এমবাপে ও ফ্যাবিয়ান লুইজকে মাঠে নামান পিএসজি কোচ। কিন্তু ম্যাচের গতি বদলায়নি। ৬২ মিনিটে অল্পের জন্য আরেকটি গোল হজম থেকে রক্ষা পায় মেসিরা। চুপো মটিং-জামালরা আরও কয়েকবার গোলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে এমবাপ্পের পা থেকে জালের দেখা পায় পিএসজি। কিন্তু অফসাইডের কারণে তাদের সেই গোল বাতিল করে দেন ম্যাচ রেফারি। তবে এরপরই যেন উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। সমতা ফেরাতে বায়ার্নকে চেপে ধরে তারা। ৭৭তম মিনিটে কর্নার থেকে হেড নিয়েছিলেন মার্কুইনহোস। তবে জোর না থাকায় সহজেই ধরে ফেলেন গোলরক্ষক সোমের। ৮২তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে বদলি খেলোয়াড় টমাস মুলার ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু উড়িয়ে মারেন তিনি।
আবারও জালে বল পাঠায় ফরাসি ক্লাবটি। এবারও অফসাইডের কারণে গোলবঞ্চিত হয় ক্রিস্তোফ গালতিয়েরের শিষ্যরা। শেষদিকে দ্বিতীয় লাল কার্ড দেখে বহিষ্কার হন পাভার্ড। তাতে শেষ হয় দুদলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রথম লেগ। আগামী ৮ মার্চ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফিরতি লেগের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখ মুখোমুখি হবে পিএসজির। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল