নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের অর্থনীতি পাঁচ ঝুঁকিতে-ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ | ১১:৪১ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ | ১১:৪১ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
বাংলাদেশের অর্থনীতি পাঁচ ঝুঁকিতে-ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এখন সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ জ্বালানিস্বল্পতা। এ কারণে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সেই সঙ্গে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিও অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। অর্থনীতিতে ঝুঁকির অন্যান্য ক্ষেত্র হচ্ছে প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়া, সম্পদ ও আয়বৈষম্য এবং সরকারি ঋণ বেড়ে যাওয়া ও বেকারত্ব।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাদের বার্ষিক বৈঠকের আগে গত বুধবার বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য ঝুঁকির সাধারণ ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সুনির্দিষ্ট ঝুঁকিগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রসঙ্গে ঝুঁকির উল্লিখিত ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। মহামারির পর চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে সবচেয়ে কম বিশ্বব্যাংক সদ্যই এ কথা বলার পর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদন দিলো। সেখানে তারা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে।

বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অংশীদার হিসেবে কাজ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ৭১টি কোম্পানির ওপর জরিপ করে ঝুঁকির এই তালিকা প্রস্তুত করেছে তারা।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পিছিয়ে থাকবে। এ ক্ষেত্রে যে অর্থায়ন প্রয়োজন, সেই নিরিখে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশকে মাথাপিছু প্রায় ৪০০ ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে ২৩০ ডলারের মতো বিনিয়োগ হতে পারে বলে মনে করছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।
ঝুঁকির পঞ্চম ক্ষেত্রটি হচ্ছে সরকারি ঋণ বেড়ে যাওয়া। প্রতিবেদনে বলা হয় সরকারি ঋণ বেড়ে গেলে প্রথমত বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ কমে যায়। এই বিষয়ে ব্যবসায়ীরা অতীতে বারবার উচ্চকণ্ঠ হয়েছেন। সরকারি ঋণ বাড়লে ব্যাংক ঋণের সুদও বেড়ে যায়।

প্রতিবেদনে বৈশ্বিক পরিসরে আগামী ২ বছরে ১০টি প্রধান ঝুঁকির ক্ষেত্রে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো যথাক্রমে ভুল ও অপতথ্য, আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতা, সামাজিক বিভেদ, সাইবার নিরাপত্তাহীনতা, দেশে অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত, অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব, মূল্যস্ফীতি, অনিচ্ছাকৃত অভিবাসন, প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়া ও দূষণ।

এর আগে ২০২৩ সালে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের প্রধান যে পাঁচটি ঝুঁকি চিহ্নিত করেছিলেন, সেগুলো ছিল উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণসঙ্কট, উচ্চ পণ্যমূল্যের ধাক্কা, মানবসৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতি ও সম্পদের জন্য ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা।

শেয়ার করুন