নিউইয়র্ক     রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২২ | ০৩:৫২ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২ | ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
শীতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

প্রকৃতির সঙ্গে জীবনযাপনেও শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। বাজারে আসতে শুরু করছে শীতকালীন সবজি, সাথে ফলও। ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে শীতকালীন সুস্বাদু খাবার রান্নার আয়োজন। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে যা শীতকালে এড়িয়ে চলা জরুরি। বিশেষজ্ঞ এবং পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন ভালো স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য শীতের মৌসুমে নির্দিষ্ট কিছু খাবার এবং খাবারের ধরনগুলো এড়িয়ে চলা ভালো।

ঠান্ডা জাতীয় : ফ্রিজ থেকে কোনো পানীয় বের করে পান করার আগে একবার ভাবুন। শীতকালে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে। তাই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার আপনার শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কমিয়ে দেয়।

দুগ্ধজাত : দুগ্ধজাত খাবারগুলো প্রাকৃতিকভাবে শ্লেষ্মা তৈরি করে। এর এমন বৈশিষ্ট্য যা আপনার শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য সংক্রমণ প্রবণ করে তুলতে পারে। তাই শীতকালে দুধ, শেক এবং স্মুদির মতো ঠান্ডা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া সীমিত করার চেষ্টা করুন। এমনকি শীত দুপুরে খাবারের পর দইও এড়িয়ে চলা ভালো।


মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার

শীতকালে মাংসের মতো ভারি খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানিয়েছেন, এই জাতীয় খাদ্য হজম করতে শরীরের অনেক বেশি সময় লাগে। এ ছাড়া শীতকাল এমন একটি সময় যা আমাদের শরীর অলস করে। ফলে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়। এটি হজমের সমস্যা এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলোও কম করার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ সেগুলো অ্যালার্জির কারণও হতে পারে।

সালাদ ও কাঁচা খাবার : শীতকালে দুপুরের খাবারের পর সালাদ এবং কাঁচা খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ ঠাণ্ডা খাবারের আইটেমগুলো অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে তোলে এবং দুপুরে হজম শক্তি সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। শুধু এই সময়ে মূলা এবং মৌসুমি কাঁচা সবজির সালাদ খান।


জুস ও বায়ুযুক্ত পানীয়

শীতকালে যেসব খাবার খাওয়া যাবে না সেগুলোর মধ্যে শুরুতেই রয়েছে ঠান্ডা জাতীয় পানীয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা ঠান্ডা জাতীয় পানীয়র পাশাপাশি বায়ুযুক্ত পানীয়, ফ্রুট জুস ও চিনিযুক্ত বেভারেজ সীমিত গ্রহণ করার পরামর্শ দেন। উচ্চ মাত্রায় চিনির ব্যবহার শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় এবং এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

ফ্যাটি ফুড : শীতকালে গরম গরম পাকোড়া খেতে কার না ভালো লাগে। আবার এমনও অনেকে আছেন যারা সকালে প্রচুর ঘি দিয়ে গরম পরোটা খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এই ঠান্ডা মৌসুমে খালি পেটে ফ্যাটি ফুড অর্থাৎ যেসব খাবারে ক্যালরির মজুদ বেশি থাকে তা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।

মিষ্টি : শীত মানেই নানা উৎসব। আর উৎসব মানেই নানা পদের মিষ্টির সমারোহ। এই মৌসুমে মিষ্টি জাতীয় খাবার আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাহত করতে পারে। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি

শেয়ার করুন