নিউইয়র্ক     রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেসব রোগে পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হন

পরিচয় রিপোর্ট

প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৩ | ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৩ | ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
যেসব রোগে পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হন

পুরুষদের মধ্যে দেখা দেয় নানা ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতা। এসব ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো সম্ভব? তার জন্য আগে জানা জরুরি যে কোন রোগগুলোতে পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হন।

ভারতের বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক সিটির কাবেরী হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. অশ্বথ কুমার জানিয়েছেন এমনই কিছু রোগের কথা।

চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

কার্ডিওভাস্কুলার রোগ : পুরুষরা কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো হার্টের রোগ ও স্ট্রোক। এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে। কার্ডিওভাস্কুলার রোগের রিস্ক ফ্যাক্টরগুলি হলো উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ধূমপান, ওবেসিটি এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।

রোগের আশঙ্কা কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ব্যায়ামও করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করুন। সেই সঙ্গে ছাড়তে হবে ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস। এছাড়া বøাড প্রেশার ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করানো দরকার।

প্রস্টেট ক্যানসার : পুরুষদের সাধারণ ক্যানসার এটি। যত দ্রæত রোগ ধরা পড়বে, চিকিৎসাতেও তত সুবিধা হবে। ৫০-এর বেশি বয়সী পুরুষদের এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। যেসব পুরুষের পরিবারে এই রোগের ইতিহাস রয়েছে তাদের নিয়মিত স্ক্রিনিং করানো উচিত। এর পাশাপাশি সঠিক ওজন বজায় রাখার জন্য ব্যালেন্সড ডায়েট এবং নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। ওবেসিটি বা বাড়তি ওজন এই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

এই রোগ থেকে বাঁচতে ডায়েটে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল আর সবজি বেশি পরিমাণে রাখতে হবে। এড়িয়ে চলতে রেড মিট, প্রসেসড মিট।

ফুসফুসের ক্যানসার : পুরুষদের মধ্যে এই ক্যানসারের হারও অত্যন্ত বেশি। আর এর জন্য দায়ী অতিরিক্ত ধূমপান। ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা। পাশাপাশি বহু মানুষ রয়েছে, যারা এমন কারখানায় কাজ করে, যেখানে তারা সহজেই অ্যাসবেসটস অথবা রেডনের মতো কার্সিনোজেনের সংস্পর্শে আসে।

এমন ব্যক্তিদেরও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। বারবার কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা কিংবা আচমকা ওজন হ্রাসের মতো উপসর্গ দেখা গেলেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ডায়াবেটিস :নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি। নিয়ন্ত্রণ না করলে এটি মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। ঝুঁকি কমানোর জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। আর এর জন্য ব্যালেন্সড ডায়েট এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।

সেই সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে মিষ্টি খাবার ও পানীয়, ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার। এর পাশাপাশি ব্লাড সুগারের মাত্রার ওপর নিয়মিত নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে নিতে হবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।

শেয়ার করুন