নিউইয়র্ক     মঙ্গলবার, ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রপ্তানি আয় সময়মতো দেশে আনতে কঠোর নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৩ | ০৬:২৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ | ১২:২১ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
রপ্তানি আয় সময়মতো দেশে আনতে কঠোর নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানি আয় দেশে আনার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, নির্ধারিত সময় পার করে রপ্তানি আয় দেশে আনলে যে তারিখে তা দেশে আসার কথা ছিল, সে সময়ের রপ্তানি বিলের দর ধরে রপ্তানিকারকদের বিল পরিশোধ করতে হবে। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোর সকল অথোরাইজড ডিলারস শাখায় পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানি আয় দেশে না আনলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সঠিক সময়ে রপ্তানি আয় দেশে আনার জন্য শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানি নগদায়ন করতে না পারলে নতুন দরে রপ্তানি আয় পাবেন না বিলম্ব করা রপ্তানিকারকরা।

১২০ দিনের মধ্যে রপ্তানি আয় দেশে আনার বাধ্যবাধকতা অনেক আগে থেকেই রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে রপ্তানি আয় আনতে না পারলে আগের দরই পাবেন তারা। প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগে যোগাযোগ করা হলে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ধীরে ধীরে রপ্তানি আয়ের দর বাড়ছে। ডলার সংকটকে মোকাবিলার জন্য সময়ের সঙ্গে রপ্তানি বিলের আয় বাড়ানো হচ্ছে। ফলে অনেক রপ্তানিকারকরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানি বিল আনছেন না। ফলে ১২০ দিনের মধ্যে যে দর থাকবে তাদের সেই দরে রপ্তানি বিলের দর দেয়া হবে।

বর্তমানে ১০৪ টাকা দরে রপ্তানি বিল নগদায়ন করা হচ্ছে। এই রপ্তানি বিল কয়েক মাস আগেও ৯৯ টাকা ছিল। ধীরে ধীরে ৫ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ১০৩ টাকায় রপ্তানি বিল নগদায়ন করা হচ্ছিল। গত সপ্তাহে আরও ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৪ টাকা করা হয়। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, দাম বাড়ার কারণে অনেক রপ্তানিকারক দেশে রপ্তানি আয় আনতে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করছে। এর ফলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন