নিউইয়র্ক     সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা

নিরাপত্তা প্রত্যাহার নয়, রাষ্ট্রদূতদের ট্রাফিক মুভমেন্টের বাড়তি সুবিধা বন্ধ

বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৩ | ০১:১৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৬ মে ২০২৩ | ০১:১৮ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
নিরাপত্তা প্রত্যাহার নয়, রাষ্ট্রদূতদের ট্রাফিক মুভমেন্টের বাড়তি সুবিধা বন্ধ

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফাইল ছবি

রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, দূতাবাসের নিরাপত্তায় পুলিশ এবং রাষ্ট্রদূতদের গানম্যান নিয়োজিত আছে। মন্ত্রণালয় বলছে, কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিক অলিখিতভাবে ট্রাফিক মুভমেন্টের জন্য যে জনবল সুবিধা পেতেন সেটা দেয়া হবে না। আজ সোমবার (১৫ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু গণমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ ছয়টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জনবল সংকট ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে অর্থের বিনিময়ে কূটনীতিকেরা বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা নিতে পারবেন।

রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় বলে, ‘কিছু কিছু গণমাধ্যমে ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বা বাংলাদেশস্থ বিদেশি কুটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রদান নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য আমাদের নজরে এসেছে । প্রতিটি দূতাবাসেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বিধান অব্যাহত রেখেছেন এবং রাষ্ট্রদূতদের পুলিশ প্রদত্ত গানম্যান নিয়োজিত আছেন। এই কারণে নিরাপত্তা প্রত্যাহার সম্পর্কিত এই বিভ্রান্তকর খবরটি সঠিক নয়।’ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বাংলাদেশ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য আন্তর্জাতিক আইন এবং প্রচলিত রীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাধারণত বাংলাদেশ পুলিশ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার গুরু দায়িত্বটি সবসময় পালন করে থাকে । কিন্তু বাংলাদেশের কয়েক বছর আগের একটি ঘটনা পরবর্তী সময় থেকে কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিককে অলিখিতভাবে গাড়িসহ মূলত নিয়মিত ট্রাফিক মুভমেন্টের সহায়তার জন্য বাড়তি কিছু লোকবল দেয়া হয়েছিল।’

‘বর্তমানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রনাধীন আছে। তাই তাদেরকে বাড়তি নিরাপত্তা প্রদানের কোনো আবশ্যকতা নাই। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কার্য পরিধি বৃদ্ধির জন্য এই বাড়তি সুবিধাটি এখন অব্যাহত রাখা যাচ্ছে না। এখানে স্মরণ করা যেতে পারে যে, পৃথিবীর কোনো দেশেই বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা ও চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন সুবিধা প্রদান করা হয় না।’ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু দূতাবাস থেকে একই ধরনের সুবিধার জন্য অনুরোধ করার একটি প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করছি। এ লক্ষ্যে তাদের সকলের সুবিধার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ আনসার বাহিনীতে একটি চৌকস দল তৈরি করেছে। বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের খরচে এ সুবিধাটি গ্রহণ করতে পারবেন। কোনো দূতাবাস আনসার সদস্যদের এই সুবিধা অব্যাহত রাখতে চাইলে বা বাড়তি সুবিধা নিতে চাইলে আমাদেরকে লিখিতভাবে জানালে আমরা সেই ব্যবস্থাটি গ্রহণ করব। খুব শিগগিরই সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সকল বিদেশি দূতাবাসকে জানিয়ে দেয়া হবে।’ সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন