নিউইয়র্ক     রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসিনাকে স্বীকৃতি না দেয়ার সম্ভাবনা খারিজ যুক্তরাষ্ট্রের

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ | ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ | ১২:২১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
হাসিনাকে স্বীকৃতি না দেয়ার সম্ভাবনা খারিজ যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশের নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু না হলেও শেখ হাসিনা সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার কোনো কারণ দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে নির্বাচনকে ঘিরে যেসব সহিংসতা হয়েছে, সেগুলোর স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত চায় ওয়াশিংটন। তা ছাড়া বাংলাদেশে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীর গ্রেপ্তার ও নির্বাচনকালীন অনিয়ম নিয়েও দেশটি উদ্বিগ্ন।টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা৷ তার সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে না- এমন সম্ভাবনা খারিজ করেছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার৷

গত ১৮ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘‘তাহলে আপনারা যখন বলেন বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি, তার মানে কি যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থ মেয়াদকে স্বীকৃতি দেবে না?”

জবাবে মিলার বলেন, না না৷ আমরা এখন বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার প্রতিবেদনগুলোর বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করতে এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে উৎসাহিত করছি। তিনি আরো বলেন, ‘‘রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহার করার জন্য আমরা সব দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

আরেক সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবক্ষয় এবং হাজার হাজার বিরোধী নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করার মাধ্যমে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে? কারণ নির্বাচন নিয়ে আপনার দেওয়া বিবৃতিতেই আপনি উল্লেখ করেছেন, ওই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।

জবাবে মিলার জানান, বিরোধী রাজনৈতিক সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে তারা উদ্বিগ্ন।তিনি বলেন, ‘‘সব দল এতে অংশগ্রহণ করেনি বলে আমরা দুঃখিত এবং নির্বাচনের সময় ও এর আগের মাসগুলোতে যে সহিংসতা হয়েছে আমরা তার নিন্দা জানাই।”

এর আগে ১৭ জানুয়ারী বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ ও রোহিঙ্গা সংকটের মতো পারস্পরিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দুই দেশ কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেন। পিটার হাস আরো বলেন, ‘‘পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আগামী মাসগুলোতে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যাশা করছি।”

শেয়ার করুন