কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশের সম্পদের খোঁজে সাত দেশে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়–২ এর সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম প্রধান কার্যালয়ের মানি লন্ডারিং শাখার মাধ্যমে এবং মানি লন্ডারিং শাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে গত মাসে সাত দেশে চিঠিগুলো পাঠান।
সাত দেশ হলো–ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। সোমবার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক আতিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দেশে ওসি প্রদীপের অবৈধ সম্পদের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই বিদেশে সম্পদ গড়েছেন কি না, সে বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউর মাধ্যমে সাতটি দেশে চিঠি দেয়া হয়েছে। তথ্য পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৭ জুলাই দুর্নীতির মামলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকিকে ২১ বছর কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে প্রদীপের ঘুষের টাকায় চুমকির নামে নেয়া কোটি টাকার বাড়ি, গাড়ি ও ফ্ল্যাট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় প্রদীপ ও চুমকি দুজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এই হত্যা মামলায় প্রদীপসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি এই রায় দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। বর্তমানে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার-৪ এ বন্দি প্রদীপ কুমার দাশ। আর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
