নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের আগে যা দেখতে চায়

বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৩ | ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৩ | ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের আগে যা দেখতে চায়

বৈদেশিক মুদ্রা। ছবি : সংগৃহীত

বিদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের আগে বিনিয়োগ যোগ্য পলিসি ও পরিবেশ দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।

গতকাল সোমবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের ‘সার্কুলার ইকোনমি’ শীর্ষক সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ আগামী ৫০ বছরে কী করবে এখনই তা ভাবার সময়। বিদেশি উদ্যোক্তারা এখানকার নীতি দেখতে চায়। কারণ তাদের চয়েজ রয়েছে। তারা অন্য দেশেও বিনিয়োগ করতে পারে।

তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় যদি এখানে সুযোগ-সুবিধা বেশি হয়, তাহলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে। না হলে অন্য দেশে চলে যাবে। আমরা আমাদের উন্নয়নের পর্যালোচনা করতে পারি। নতুন করে আবার কীভাবে উন্নয়ন করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করব।

রিসাইকেলিংয়ে অর্থাৎ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে রিসাইকেলিংয়ের অবস্থা কী হবে তা নিয়ে চিন্তা করার এখনই সময়।

বাংলাদেশ বিশ্ব কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করতে চায়। তাই উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলছি, বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখনই সময়। অন্যরা বিনিয়োগের আগে আপনারা চলে আসুন। এখানে বিনিয়োগ করলে উইনিং উইনিং সিচুয়েশনে থাকবেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইইউ রাষ্ট্রদূত সট চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ডাবিং চক্রাকার অর্থনীতিতে জোর দিচ্ছে গোটা বিশ্বই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, শুধু বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের প্রধান বাজারই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় একক বাজার। আলোচনায় ইইউ প্রতিনিধি জানান, কার্বণ নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনাসহ পরিবেশ রক্ষার শর্ত পূরণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, রিসাইকেল ইকোনমি বা চক্রাকার অর্থনীতির অন্যতম কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করেছে বেশকিছু শিল্প গ্রুপ। আছে ছোট ছোট উদ্যোগও।

তারা বলছেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে নীতি নির্ধারণ ও সিইও, বিনিয়োগের মাধ্যমে এ খাতে নজর দেওয়ার সময় এসেছে। তারা জানান, চক্রাকার অর্থনীতি যেমন টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে, তেমনি নতুন নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হবে। সকালে রাজধানীতে বিজনেস সামিটের আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে।

তৈরি পোশাক হোক, আর নির্মাণ সামগ্রী কিংবা ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী মানুষের নিত্য ব্যবহার্য নানা পণ্যের কাঁচামাল আসে প্রকৃতি থেকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দিনে দিনে কঠিন হচ্ছে প্রকৃতি থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ। আবার ব্যবহারের পর পণ্যগুলো হয়ে যায় বর্জ্য। যা পরিবেশের জন্য চরম হুমকি। এসব সমস্যার বড় সমাধান, এক পণ্যের বারবার ব্যবহার। যাকে বলা হচ্ছে চক্রাকার অর্থনীতি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের পাশাপাশি অনেক বড় শিল্প গ্রুপও শুরু করেছে চক্রাকার উৎপাদন প্রক্রিয়া। আলোচনায় বেক্সিমকো টেক্সটাইলের সিইও জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে বেক্সিমকো হবে শূন্য কার্বন নিঃসরণকারী কোম্পানি। এজন্য টেক্সটাইলসহ নানা খাতে পরিবেশবান্ধব ও রিসাইকেল শিল্পে বিনিয়োগ করছে গ্রুপটি।

বেক্সিমকো টেক্সটাইলের সিইও সৈয়দ নাভিদ হোসেন বলেন, মুনাফার পেছনে নয়, আমরা শুরুতে মানুষ, এরপর প্রকৃতির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। মানুষ অর্থ-বিত্ত ও শক্তির দিকে এখন ঝুঁকছে। আমরা ২০-২১ সালের দিকে তাকালে দেখতে পাই, মহামারিতে কি সেগুলো কাজে লেগেছিল? এখন এসবকে পেছনে ফেলে টেকসই অর্থনীতি, বিশেষ পরিবেশ ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে। সূত্র :
সাম্প্রতিক দেশকাল

শেয়ার করুন