নিউইয়র্ক     শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার, ঝুঁকির তালিকায় ৭০০ আমদানি-রপ্তানিকারক

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৩:১৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৩:১৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার, ঝুঁকির তালিকায় ৭০০ আমদানি-রপ্তানিকারক

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। ছবি : সংগৃহীত

পণ্য রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার ঠেকাতে নড়েচড়ে বসেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। সন্দেহজনক লেনদেনের জন্য ৭০০ আমদানি ও রপ্তানিকারক এবং ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা করা হয়েছে। এদের কার্মকাণ্ডে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা। তবে হয়রানি নিয়ে শঙ্কায় তারা।

সম্প্রতি এক অনুসন্ধানে, চট্টগ্রাম কাস্টমস হয়ে ২২টি দেশে ৮২১ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। বছর খানেক আগে, রপ্তানি না করেও ভুয়া কাগজ তৈরি করে সরকারি প্রণোদনার ছয়শ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ প্রায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস উপ-কমিশনার ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সী জানিয়েছেন, এসব ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে শুল্ক বিভাগ। সন্দেহজনক লেনদেনের জন্য আমদানি-রপ্তানিকারক এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের তালিকা হয়েছে। জালিয়াতি ধরতে কাজ শুরু করেছে ২০টি কমিটি। জালিয়াতি ঠেকাতে এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে অতি কড়াকড়িতে ভোগান্তি বাড়ে কিনা, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু বলেন, আমাদের সিঅ্যান্ডএফকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। পাসওয়ার্ড নিয়মিত পাল্টাতে হবে। আর পাসওয়ার্ডের জিম্মাদারের ওপরও তদারকি অব্যাহত রাখতে হবে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক পরিচালক আবদুল্লাহ জহির জানান, যারা ভালো এক্সপোর্ট বা ইমপোর্ট করে তারা যেন তাদের যাবতীয় সমস্যাগুলো নিয়ে কাস্টম হাউসের সাথে আলাপ করে নেন। চট্টগ্রাম কাস্টমসের ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা ৭০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে, আমদানি-রপ্তানিকারক রয়েছে প্রায় ৬০০। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টিভি

 

শেয়ার করুন