নিউইয়র্ক     সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিমান ছাড়াই পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ ঘুরে ফেললেন ডেনিশ যুবক

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩ | ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১০ জুন ২০২৩ | ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বিমান ছাড়াই পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ ঘুরে ফেললেন ডেনিশ যুবক

যাত্রাপথে ১৫৮টি ট্রেনে চড়েছেন থর পেডারসন। ছবি : ডেইলি মেইল

ভেবেছিলেন চার বছরের মধ্যেই পুরো পৃথিবী দেখে ফেলবেন। কিন্তু পৃথিবী ঘুরে দেখার এই মিশন শেষ হতে থর পেডারসনের সময় লাগল ১০ বছর। এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশেই পা রেখেছেন তিনি, তবে একবারের জন্যও কোনো বিমানে চড়তে হয়নি তাকে। পৃথিবীর দেখার নেশায় ২০১৩ সালে ৩৪ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়েছিলেন থর। সে সময় তার হিসাবটাও ছিল খুব সরল। ভেবেছিলেন, পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশে সাত দিন করে থাকবেন। এমন হলে ২০১৭ সালের অক্টোবরেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল এই ডেনিশ যুবকের। কিন্তু পরিকল্পনা আর বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। ভিসা সংক্রান্ত কারণে একেকটি দেশে সাত দিন করে থাকার পরিকল্পনা শুরুর দিকেই ভেস্তে যায় থরের। এর মধ্যে আবার মাহামারিও চলে আসে।

মহামারির সময় হংকংয়ে আটকে পড়েছিলেন থর। সেখানেই তাকে প্রায় দুই বছর অবস্থান করতে হয়। যাত্রা শুরুর প্রায় ১০ বছর পর গত মে মাসে একটি কন্টেইনার জাহাজে চড়ে মালদ্বীপে পৌঁছার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশে পা রাখার মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। পুরো অভিযানে বিমান ছাড়াই বিভিন্ন উপায়ে তাকে ২ লাখ ২৩ হাজার ৭২ মাইল পাড়ি দিতে হয়েছে। বর্তমানে তার বয়স ৪৪ বছর। অভিযানের বিষয়ে থর বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছিলাম, বিমানে না চড়ে পৃথিবীর কেউই প্রত্যেকটি দেশে যেতে পারেনি। আমি এটিকে সম্ভব করতে চেয়েছিলাম।’ যাত্রাপথে অসংখ্য বাস, ট্রেন, জাহাজ, মাছ ধরার নৌকাসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করেছেন থর। এর মধ্যে ব্রাজিলে এক বাসেই টানা ৫৪ ঘণ্টা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। ওই বাসে বসেই দুইবার সূর্যাস্ত দেখতে হয়েছে। আর সবচেয়ে দীর্ঘতম ট্রেন ভ্রমণটি করেছেন রাশিয়ায়। এ ছাড়া একটি জাহাজে অবস্থান করেছিলেন টানা ২৭ দিন।

এই অভিযানে একটি এনার্জি কোম্পানি অর্থায়ন করলেও অনেকের ব্যক্তিগত সহযোগিতাও পেয়েছেন থর। পৃথিবীর সবগুলো দেশ ভ্রমণের জন্য তাকে ব্যবহার করতে হয়েছে ১০টি পাসপোর্টও। আরেকটি বিষয় হলো-থর যখন তার অভিযান শুরু করেন-তার এক বছর আগেই তিনি বিয়ে করেছিলেন। যদিও তার স্ত্রী লি অভিযানে সঙ্গী হতে পারেননি। তবে গত ১০ বছরে সুদান, অস্ট্রেলিয়া, হংকংসহ বিভিন্ন দেশে স্ত্রীর সঙ্গে মোট ২৭ বার দেখা হয়েছে থরের।

যাত্রাপথে স্ত্রী লি’র সঙ্গে পাক-ভারত সীমান্তেও দেখা হয়েছিল থরের। ছবি : ডেইলি মেইল

৪০ বছর বয়সী লি বর্তমানে ডেনমার্কে থরের জন্য অধীর অপেক্ষায় আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে, আগামী মাসেই দেখা হবে এই দম্পতির।

এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন