নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাইডেনের ‘জেনোফোবিক’ বক্তব্য নিয়ে ভারত ও জাপানের আপত্তি

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪ | ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৬ মে ২০২৪ | ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বাইডেনের ‘জেনোফোবিক’ বক্তব্য নিয়ে ভারত ও জাপানের আপত্তি

সম্প্রতি একটি প্রচারণা তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে যুক্তরােষ্ট্রর প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন জাপান ও ভারতকে ‘জেনোফোবিক’ দেশ হিসেবে আখ্যা দেন। ‘জেনোফোবিক’হচ্ছে ‘বিদেশিদের ভয়ে ভীত’, যারা অভিবাসীদের স্বাগত জানায় না। তবে বাইডেনের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারত ও জাপান।

জাপান বলেছে, বাইডেন তাদের নীতি সঠিকভাবে না বুঝে এ অভিমত দিয়েছেন। অন্যদিকে ভারত এই মন্তব্যটি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে, নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্মুক্ত সমাজ হিসাবে দাবি করেছে। বাইডেন তার বক্তব্যে জাপান ও ভারতকে ‘জেনোফোবিক’ দেশ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং রাশিয়া ও চীনসহ তাদের বিপদগ্রস্ত অর্থনীতির ব্যাখ্যা করার প্রচেষ্টা করেন। সেই সাথে তিনি এই চারটি দেশের বিপরীতে অভিবাসীদের দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তির তুলনা করেন।

জাপান যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্রদের একজন। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমশ আত্মবিশ্বাসী চীনকে মোকাবেলায় জাপান ও ভারত উভয়ই ‘কোয়াড’ নামের একটি অনানুষ্ঠানিক জোটের অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই কোয়াডে অস্ট্রেলিয়াও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে, বাইডেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে একটি সরকারি সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, যখন দুই নেতা তাদের ‘অবিচ্ছেদ্য মিত্রতা’ পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের হুমকির মুখে তাদের নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত হয়েছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও গত বছর ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রীয় সফর করেছিলেন, যখন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।

হোয়াইট হাউস বলেছে, বাইডেন কোনও দেশকে ছোট করার উদ্দেশ্য নিয়ে এই মন্তব্য করেননি। তিনি শুধু যুক্তরাষ্ট্রকে অভিবাসীদের দেশ হিসেবে তুলনা করে এই কথা বলেছেন এবং জাপানের সাথে সম্পর্ক খারাপ করার কোনও ইচ্ছা তার নেই। শনিবার জাপান সরকারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাইডেনের মন্তব্য এবং পরবর্তী ব্যাখ্যা সম্পর্কে জাপান অবগত রয়েছে। তবে তিনি বলেন, বাইডেনের ভাষণের কিছু অংশ জাপানি নীতির সঠিক বোঝাপড়ার উপর ভিত্তি করে ছিল না, যেটা দুঃখজনক।

তবে জাপান অভিবাসীদের উপস্থিতিকে আমেরিকার শক্তি হিসেবে বাইডেনের বিবেচনার মন্তব্যটি বুঝতে পেরেছে। তিনি আরো বলেন, জাপান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। শনিবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বাইডেনের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ভারত বিশ্বের সবচেয়ে উন্মুক্ত সমাজ। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা।

শেয়ার করুন