নিউইয়র্ক     রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিক্ষোভ দমনে নতুন আইন করছে ব্রিটেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৩:১০ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ | ০৩:১০ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বিক্ষোভ দমনে নতুন আইন করছে ব্রিটেন

ব্রিটেনে বিক্ষোভ দমনের জন্য নতুন প্রস্তাব ঘোষণা করতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সরকার। এই প্রস্তাব গুরুতর পরিস্থিতি রোধে পুলিশের কর্মকাণ্ডের পরিধি বিস্তৃত করবে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে সুনাক বলেন, প্রতিবাদ করার অধিকার আমাদের গণতন্ত্রের একটি মৌলিক নীতি, তবে এটি নিরঙ্কুশ নয়।

‘আমরা ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু দ্বারা পরিচালিত প্রতিবাদ মেনে নিতে পারি না যেটি সাধারণ জনগণের জীবনকে ব্যাহত করে । এটি গ্রহণযোগ্য নয় এবং আমরা এটি শেষ করতে যাচ্ছি’, বলেন তিনি। সরকার বলছে, নতুন আইন পাশ হলে এর অর্থ হবে পুলিশ আগে থেকেই বিক্ষোভ বন্ধ করে দিতে পারবে।

সাম্প্রতিক সময়ে সাধারণত পরিবেশগত ইস্যুতে বিক্ষোভ সেন্ট্রাল লন্ডনের একটি বড় অংশ বন্ধ করে দিয়েছে এবং মূল মহাসড়কগুলোতে ট্র্যাফিক অবরুদ্ধ করেছে। যার ফলে বিশৃঙ্খলা বন্ধ করাতে পুলিশকে আরও শক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এটি মোকাবেলা করতে ব্রিটিশ সরকার ২০২২ সালে একটি আইন পাস করে। তবে পাবলিক অর্ডার বিল নামে পরিচিত একটি নতুন আইন নিয়ে তারা আরও অগ্রসর হওয়ার পরিকল্পনা করছে।

বিলটি গত বছর প্রকাশিত হয় এবং বর্তমানে সংসদে বিতর্কের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এটি নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে, যাদের দাবি এটি গণতন্ত্রবিরোধী এবং পুলিশকে খুব বেশি ক্ষমতা দেয়।

সরকার ‘গুরুতর ব্যাঘাত’-এর আইনি সংজ্ঞা প্রসারিত করতে, পুলিশকে আরও নমনীয়তা দিতে এবং নতুন ক্ষমতা কখন ব্যবহার করা যেতে পারে সে সম্পর্কে আইনি স্পষ্টতা দিতে আইন হওয়ার আগে পাবলিক অর্ডার বিলটি সংশোধন করতে চায়।

বিলটি পাস হলে কোনও বিক্ষোভকারী যদি নিজেদেরকে কোনও ভবনে বা বস্তুর সাথে তালাবদ্ধ করতে চান তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যাবে। সেইসাথে আদালত কিছু প্রতিবাদকারীদের স্বাধীনতা সীমিত করার অনুমতি পাবে যাতে তারা গুরুতর ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে।

শেয়ার করুন