নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর

বাংলাদেশের অর্থনীতির অব্যাহত নিম্নমুখী চাপ

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৩ | ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৩ | ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বাংলাদেশের অর্থনীতির অব্যাহত নিম্নমুখী চাপ

করোনাভাইরাস মহামারির আগেই বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর অব্যাহত নিম্নমুখী চাপের ধারা শুরু হয়েছিল। মহামারি দেশের কাঠামোগত ফাটল এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভঙ্গুরতা উন্মোচন করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত হ্রাস এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, জীবনযাত্রা ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে মানুষের দুর্দশাকে আরও বেড়েছে। মহামারি শুরুর আগ থেকেই বাংলাদেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। যেমন: দারিদ্র্য বিমোচনের হার ধীর হতে শুরু করেছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে বছরে ১ দশমিক ৮ শতাংশ পয়েন্ট হারে দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছিল। ২০০৫ সাল থেকে থেকে ২০১০ সালের মধ্যে হ্রাসের হার কমে ১ দশমিক ৭ শতাংশ পয়েন্ট এবং ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে আরও কমে ১ দশমিক ২ শতাংশ পয়েন্টে দাঁড়ায়। করোনাভাইরাস আঘাত হানার আগের সময়ের ২০ শতাংশ থেকে দারিদ্র্যের হার বেড়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ২৯ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে।

দেশে বেকারত্বের হারও বেড়েছে। শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭ অনুযায়ী, বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ। ১৪ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণদের মাঝে এই হার ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। দীর্ঘমেয়াদী বেকারত্বের (১ বছরের বেশি সময় ধরে বেকার) হার ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। সার্বিকভাবে সমাজে বৈষম্য দ্রুত গতিতে বাড়ছে। মজুরি বৃদ্ধির হারের তুলনায় মূলধনে বেশি মুনাফা প্রাপ্তি বৈষম্যকে অধিক হারে বাড়াচ্ছে। ‘খানা আয়-ব্যয় জরিপ-২০১৬’ অনুযায়ী ২০১৬ সালে বৈষম্য পরিমাপের গিনি সহগের মান ছিল শূন্য দশমিক ৪৮২, যা ২০১০ সালের শূন্য দশমিক ৪৫৮ এর চেয়ে বেশি। গিনি সহগের ঊর্ধ্বগতি নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। সম্পদের কেন্দ্রীকরণ বিশাল মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের শীর্ষ ৫ শতাংশ মানুষের হাতে মোট আয়ের ৯৫ শতাংশ চলে গেছে।

করোনাভাইরাস মহামারি দেশের প্রান্তিক গোষ্ঠীর সদস্য, বিশেষত নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ, নারী, শিশু, প্রবীণ, বেকার ও অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকায় মারাত্মক অভিঘাত ফেলেছে। সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষার অনুপস্থিতিতে মূল্যস্ফীতির চাপ অনেককে প্রয়োজনীয় খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ কমাতে বাধ্য করেছে। ফলে সার্বিকভাবে পুষ্টি গ্রহণের মাত্রা কমছে। অনেকে চিকিৎসা ও শিশু শিক্ষার ব্যয় কমাতে বাধ্য হয়েছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনানুষ্ঠানিক খাতের আধিপত্য বেশি। অনানুষ্ঠানিকীকরণ বিশিল্পায়ন থেকে উদ্ভূত। আনুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষমতা, বিশেষ করে শিল্পখাতে ঋণাত্মক কর্মসংস্থান সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বিশিল্পায়ন অকালে শুরু হয়েছে। রপ্তানি একটি খাতে কেন্দ্রীভূত হওয়ায় অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। পক্ষাঘাতগ্রস্ত নীতি প্রক্রিয়া আরও প্রতিযোগিতামূলক পণ্যের সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্যময় করার জন্য বেসরকারি খাতের সক্ষমতা বাড়াতে পারেনি।

দূরদৃষ্টির অভাবে জ্বালানি নিরাপত্তার ওপর চাপ অনেক গুণে বেড়েছে। মৌলিক জ্বালানি সরবরাহের জন্য আমদানি নির্ভরতা, গ্যাস উত্তোলনের স্বল্পতা, পুনঃনবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে অগ্রগতির অভাব এবং জ্বালানি উৎপাদন খাতের উচ্চ ভাড়ার অবকাঠামো সত্ত্বেও সঞ্চালন ব্যবস্থায় অপর্যাপ্ত বিনিয়োগের কারণে এই খাতের সমস্যাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। একদিকে জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যয়, অন্যদিকে বিপুল অংকের ক্যাপাসিটি চার্জ বাজেটে প্রস্তাবিত অর্থ দিয়ে বিদ্যুৎ ক্রয়ের ব্যয় সংকুলান অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে, বকেয়া জমেছে অনেকে।

সবুজ বিপ্লব উত্তরকালে কৃষিখাতে উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আসেনি। কৃষিতে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পেয়েছে এবং উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সারের বাজারও অস্থিতিশীল। ঋণ পরিশোধে সেরা ট্র্যাক রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও কৃষকদের অর্থায়ন প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। প্রচলিত ভূমি সংস্কার ও ক্ষুদ্র কৃষক নীতি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না। সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করলেও ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প এখনও অবহেলিত। সেবাখাতে দক্ষ জনশক্তির স্বল্পতা রয়েছে।

আর্থিক ভারসাম্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। কর ও মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) অনুপাতের দিক দিয়ে বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান একেবারে তলানির দিকে। ঋণ নির্ভরতা ও সার্বিকভাবে দেনার পরিমাণ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া সরকারি ঋণের পরিমাণ নতুন রেকর্ড করে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ কোটিরও বেশি। সরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ায় আরও বেশি পরিমাণে মুদ্রিত অর্থ বাজারে প্রবেশ করছে। ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির কারণে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। মূলধন ব্যয় নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কিছু প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে এখন বোঝায় পরিণত হয়েছে। মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের খরচ স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আদায়ের গতি কমে যাওয়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংকোচনেরই ইঙ্গিত দেয়। পণ্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধি এই ভোগভিত্তিক কর আদায়ের সামান্য অগ্রগতির পেছনে মূল কারণ। আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ ও বৈদেশিক মুদ্রার স্বল্পতার কারণে ব্যাংকগুলো চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছে না। ফলে আমদানি ও আমদানি শুল্ক আদায়ের পরিমাণও কমছে।

যখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়, তখন কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতাও বাড়তে থাকে, বিশেষত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে। ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার হয়। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি সরকারের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সরকার কর পরিহার ও ফাঁকি প্রতিরোধ করতে পারলে এই অর্জন সম্ভব। এ ক্ষেত্রে একটি স্বকীয় কর সংস্কার কর্মসূচি অতি জরুরি। অভ্যন্তরীণ সম্পদ গঠনের প্রধান উৎস হিসেবে আয়করকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে সরকারের আর্থিক সক্ষমতার আরও সম্প্রসারণ ঘটিয়ে উন্নয়নমুখী টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা অর্জন সম্ভব।

আর্থিকখাত দীর্ঘদিন ধরে বিপর্যস্ত। দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান খেলাপি নয়। অল্প কিছু প্রতিষ্ঠান ও হাতেগোনা কয়েকজন ব্যক্তির কাছেই খেলাপি ঋণের বেশিরভাগ অংশ। বিভিন্ন ছাড় ও সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় এখনো উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসেনি। সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে সুশাসনের অভাব ও রাজনৈতিক প্রভাবের সুবিধা ভোগের সংস্কৃতিই এই জন্য দায়ী। এই কারণে গত ১০ বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ গুণ বেড়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে থেকেই অস্বাভাবিক আমদানি বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে শুরু করে। অস্বাভাবিক আমদানি বৃদ্ধির সঙ্গে অর্থপাচারের যোগসাজশের অভিযোগ তদন্ত করা হয়নি। পরবর্তীতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় কমে যাওয়ায় রিজার্ভও কমতে শুরু করেছে। রিজার্ভ ধরে রাখার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও গত বছরের মার্চের ৪৫ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার থেকে রিজার্ভ কমে এই বছরের ১ মার্চে ৩২ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বিনিয়োগ বাদ দিলে, সর্বোচ্চ ৩ মাসের আমদানি বিল মেটানোর মতো রিজার্ভ আছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) কাছ থেকে পাওয়া ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতির ৩টি ইউনিট তথা সরকার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গৃহস্থালির তারল্য সংকটের ঝুঁকি প্রশমনের জন্য যথেষ্ট নয়। আইএমএফের ৪২ মাসের কর্মসূচি সরকারের নীতিমালা প্রণয়নের স্বাধীনতা কিছুটা হলেও কেড়ে নিয়েছে। তবে এই কর্মসূচি অর্থনীতির নিম্নমুখী চাপের পেছনের মূল কারণ চিহ্নিত করে এর সমাধান করতে পারবে বলে মনে হয় না। এই চাপের উৎসের সঙ্গে রাজনৈতিক বন্দোবস্তের যোগসূত্র রয়েছে। তবে আইএমএফের শর্ত মেনে বিভিন্ন পরিষেবার মূল্য বাড়ানোয় নির্দিষ্ট আয়, দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগণের খরচের বোঝা বেড়েছে।

মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার ক্রমাগত অবমূল্যায়ন, কাঁচামাল ও পরিষেবার ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ভুগছে। সার্বিকভাবে খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি করে ঋণ নিচ্ছে। অপরদিকে, ব্যাংকিংখাতে আমানতের পরিমাণ প্রায় অর্ধেকে নামায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঝুঁকিতে পড়ছে। কালের প্রবাহে প্রতিষ্ঠানের অবক্ষয়ের কারণে উৎপাদনশীল খাতে সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টনও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোতে সৃষ্ট জীর্ণতা, জিডিপির অনুপাতে বেসরকারি বিনিয়োগের স্থবিরতা এবং মূলধনের খরচ বৃদ্ধি বিশাল চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অর্থপাচার রোধে কার্যকর তদন্ত ও জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ একটি বহুল আলোচিত দাবি।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে কিছু মহল ‘অলৌকিক’ হিসেবে বিবেচনা করে। এই প্রবৃদ্ধির পেছনে সঞ্চয় বা বিনিয়োগ কোনোটাই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভূমিকা রাখেনি। ভোগ বাবদ ব্যয়ই জিডিপি বৃদ্ধির কারণ। বিনিয়োগ নির্ভর প্রক্রিয়া ছাড়া ভোগ বাবদ ব্যয় থেকে আসা উন্নয়ন কখনোই টেকসই নয়। এরকম ভোগ নির্ভর অর্থনীতিতে আমদানি চাহিদা বেশি থাকে এবং যেকোনো বহিঃস্থ চাপ তৈরি হলে সার্বিক বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যকে ঝুঁকিতে ফেলে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এরকমই ঘটেছে।

পৃষ্ঠপোষকতা নির্ভর স্বজনতোষী রাজনীতি ক্ষমতার অসামঞ্জস্যতা তৈরি করে অধিকাংশ জনগণকে বঞ্চিত করে ক্ষমতাসীন মহলের সুবিধা আদায়ের প্রবণতায় জরাগ্রস্ত হয়ে থাকলে একটি দেশ কখনোই বহিঃস্থ চাপ সামলাতে পারে না। এমন অবস্থায় গোষ্ঠীতন্ত্র প্রাধান্য পায় এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোড়-জবরদোস্তির মাধ্যমে আদিম কায়দায় সম্পদ কেন্দ্রীভূত করার চর্চা শুরু হয়। এই আনুভূমিক ও উলম্বভাবে সংগঠিত পৃষ্ঠপোষকতা নির্ভর স্বজনতোষী সিন্ডিকেটগুলো অপ্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও রাজনৈতিক কেন্দ্রীয়করণের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখে। এই ধরণের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বেশিরভাগ মানুষের উপকারে আসে না। সংস্থাগুলো নাগরিকদের সেবা দিতে হিমশিম খায় এবং নাগরিকবান্ধব রাষ্ট্রের ধারণা সুদূর পরাহত হয়।অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের এবং উন্নয়ন অন্বেষণের চেয়ারপারসন।ডেইলি ষ্টার বাংলা-র সৌজন্যে

এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন