নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বদরুল আলম

প্রধান বাজারগুলোয় মন্দা, বাংলাদেশের ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্য অর্জন হবে কি

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৩ | ০১:০১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ | ০১:০১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
প্রধান বাজারগুলোয় মন্দা, বাংলাদেশের ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্য অর্জন হবে কি

সদ্যসমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৫৮ বিলিয়ন (৫ হাজার ৮০০ কোটি) ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখনো পুরো অর্থবছরের পরিসংখ্যান প্রকাশ পায়নি। তবে অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পণ্য রফতানি হয়েছিল ৫ হাজার ৫২ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার ডলারে। সে অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের লক্ষ্যপূরণের জন্য জুনের শুরুতে এক মাসের মধ্যে ৭৪৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের রফতানিকারকদের সামনে। তবে বিশ্ববাজার; বিশেষ করে প্রধান রফতানি গন্তব্য দেশগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এক মাসের মধ্যে এ লক্ষ্যপূরণ একেবারেই অসম্ভব বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

আগের অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য অর্জন নিয়ে সংশয়-সন্দেহের মধ্যেই ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। গতকাল শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবে লক্ষ্য আরো বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ বিলিয়ন (৬ হাজার কোটি) ডলার। সেক্ষেত্রে এবারো লক্ষ্য পূরণ নিয়ে সন্দিহান খোদ রফতানিকারকরাও। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ ক্রয়াদেশের আভাস বিবেচনায় বর্তমানে গোটা পরিস্থিতিই এর প্রতিকূলে বলে জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের সর্ববৃহৎ গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে গত অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। যদিও তা গত মে মাসে ৪ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে। কিন্তু বছরব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানি কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে—এ ১১ মাসে রফতানি কমেছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশী পণ্যের আরেক বৃহৎ গন্তব্য ইউরো অঞ্চলের দেশ জার্মানি। দেশটিতে বাংলাদেশের রফতানি কমেছে ৭ শতাংশ। বর্তমানে ইউরো অঞ্চলেও মূল্যস্ফীতির হার কমছে। জুনে ইউরো মুদ্রা ব্যবহারকারী ২০টি দেশের মূল্যস্ফীতির বার্ষিক হার ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এলেও বর্তমানে গন্তব্য দেশগুলোর ভোক্তা খাতে ব্যাপক চাহিদা মন্দা দেখা দিয়েছে। এ কারণে ক্রয়াদেশও এখন প্রত্যাশা অনুযায়ী পাচ্ছেন না রফতানিকারকরা।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কভিড-১৯ মহামারীর অভিঘাত কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ক্রমেই বাড়ছিল বাংলাদেশের রফতানি। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের সব দেশকেই গত অর্থবছরজুড়ে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে। খাদ্য ও জ্বালানির মতো অতিজরুরি পণ্যের চাহিদা মেটানোয় ভোক্তাদের মনোযোগ ছিল বেশি। তাদের কেনাকাটায় খাদ্যবহির্ভূত পণ্য এখন অগ্রাধিকারের জায়গা থেকে সরে গেছে। ভোক্তাদের এ প্রবণতার কারণে পোশাক খাতের প্রধান রফতানি গন্তব্যগুলোর ব্র্যান্ড রিটেইলার প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ক্রয় কৌশলে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে।

সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে রফতানির প্রধান গন্তব্যগুলোয় রফতানি ছিল নিম্নমুখী। বড় বাজারগুলোর মূল্যস্ফীতির চিত্র বদলাতে শুরু করলেও ভোক্তাদের ক্রয়াভ্যাসে বা ক্রেতাদের ক্রয়াদেশে তেমন কোনো পরিবর্তনের আভাস এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। ফলে নতুন অর্থবছরে ৬০ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের পণ্য রফতানির লক্ষ্য অর্জন নিয়েও যথেষ্ট সংশয় রয়ে গেছে বলে মনে করছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা। যদিও রফতানিসংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের দাবি, রফতানি গন্তব্যের প্রধান দেশগুলোর অর্থনীতি পুনরায় চাঙ্গা হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকলে রফতানি লক্ষ্য অর্জন নিয়ে খুব সমস্যা হবে না। গত ২৬ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্য নির্ধারণবিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রফতানি খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার প্রস্তাব পেশ করা হয়। সভায় ইপিবি প্রস্তাবিত ৬০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি নিয়ে আলোচনা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ মাস জুনের তথ্য এখনো হালনাগাদ হয়নি। ১১ মাসের গতিপ্রকৃতিতে ধারণা করা যাচ্ছে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ৬ থেকে ৭ শতাংশের মতো অর্জন হবে। সেটার ওপর ভিত্তি করে আগামী অর্থবছরের লক্ষ্য চূড়ান্ত হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীল হচ্ছে। এগুলোই বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের প্রধান গন্তব্য। ধারণা করা হচ্ছে নতুন অর্থবছরে গন্তব্যগুলোয় রফতানি বাড়বে। গত অর্থবছরে রফতানি কম হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে পতন। এ বাজারটি যদি পুনরুজ্জীবিত হয় তাহলে হয়তো ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আমরা অর্জন করতে পারব। দুটি বাজারে সমাপ্ত অর্থবছরে রফতানি পারফরম্যান্স খারাপ—একটি হলো যুক্তরাষ্ট্র, আরেকটি হলো জার্মানি। কিন্তু ইউরোপের অন্যান্য দেশ গড় হিসেবে ঠিক আছে।’

এএইচএম আহসান আরো বলেন, ‘সাম্প্রতিক প্রবণতায় বোঝা যাচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বাড়বে। দেশটির মূল্যস্ফীতি যদি কমে যায় স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের চাহিদা সেখানে বাড়বে। দেশের অভ্যন্তরে ডলারের বিনিময় হার রফতানিকারকদের জন্য এখন পর্যন্ত অনুকূলে। আর ডলার সংকটের প্রভাব রফতানিকারকদের আমদানি করা পণ্যের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। পণ্য রফতানিকারকদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের প্রস্তাব হলো রফতানিতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ১০ শতাংশের বেশি বা বলা যায় দুই অংকের প্রবৃদ্ধি।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ইপিবি নতুন অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার একটা প্রস্তাব দিয়েছে। সেখানে প্রায় ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে শুধু পণ্য রফতানির একটা প্রক্ষেপণ করা হয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনীতি কাঠামোয় বিভিন্ন সূচকে কিছু ধারণা থাকে। যেখানে রফতানির প্রবৃদ্ধি ১২ শতাংশ ধরা হয়েছে। সব অংশীজনের সঙ্গে সভায় কথা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী চূড়ান্ত ঘোষণা দেবেন। প্রবৃদ্ধি কত হতে পারে সেটি আমরা এখনো পর্যালোচনা করছি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ডিসেম্বরের পর বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি ছিল প্রক্ষেপণ থেকে অনেক নিচে। ২০২৩ সালে লক্ষ্য ছিল ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, যেটা ১ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালে তারা মনে করছে প্রবৃদ্ধি বাড়বে। ওই কারণে ধারণা করা হচ্ছে রফতানি প্রবৃদ্ধি দুই অংকের ঘরে থাকবে বলে আশা করা যায়। ডব্লিউটিও ও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির যে পরিস্থিতি তাতে মনে হচ্ছে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি থাকবে।

যদিও রফতানিকারকরা পণ্য রফতানি নিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো আশার আলো দেখতে পারছেন না। তারা বলছেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক—দুদিকেই বাংলাদেশের বিদ্যমান প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে প্রবৃদ্ধি অর্জন করাটা জটিল হবে। গোটা বিশ্বের অর্থনীতি নিয়েই দুশ্চিন্তা কাটছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, বাংলাদেশের পাশাপাশি প্রতিযোগী দেশগুলোর রফতানিও অনেক কম হবে। সার্বিক পরিস্থিতি মিলিয়ে নতুন অর্থবছর দুই অংকের প্রবৃদ্ধি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা এখনো নেই।

রফতানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘যে পরিস্থিতি তাতে নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা খুব কম। প্রস্তাবিত দুই অংকের প্রবৃদ্ধি খুব জটিল হবে। রফতানিতে আমাদের প্রধান পণ্য নানামুখী প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দুদিকেই আমাদের বিদ্যমান প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে প্রবৃদ্ধি অর্জন করাটা জটিল হয়ে যাবে। শুধু আমরা না, সারা বিশ্বেই প্রবৃদ্ধি যে হবে সে রকম পরিস্থিতি আমরা দেখছি না। বরং আমাদের চেয়ে আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর রফতানিও অনেক কম হবে। সব মিলিয়ে নতুন অর্থবছরে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা এখনো নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘রফতানির প্রধান বাজারগুলোর বড় ব্র্যান্ড ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের যে আলোচনা তাতে প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমরা খুব একটা আশাবাদী না। ভালো কিছু হবে—এখন পর্যন্ত তেমন কিছুই দেখছি না। সমাপ্ত অর্থবছরে তৈরি পোশাক পণ্যের রফতানি লক্ষ্য ৪৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের, এর কাছাকাছি যাবে বা বলা যায় ৪৫ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি রফতানি হবে। এসব পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিয়ে নতুন অর্থবছরে ৬০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য অর্জন হবে বলে আমার মনে হয় না।’

একই ধরনের বক্তব্য পোশাক পণ্য প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘ইপিবির প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। প্রস্তাব অনুযায়ী লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে না। আমি মনে করি সমাপ্ত অর্থবছরে বাংলাদেশ যে অর্থমূল্যের রফতানি হবে, নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি দূরের কথা বরং রফতানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা খুবই চিন্তিত, কারণ রফতানি কমে যাওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা অনেক নীতিসহায়তার প্রস্তাব করেছিলাম কিন্তু এর কোনোটির বিষয়ে বাজেটে কিছু নেই। আমার কাছে মনে হয় রফতানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

তবে এমনটা না যে অন্যান্য দেশ ভালো করবে আমরা কমব—এ কথা উল্লেখ করে ফারুক হাসান বলেন, ‘অন্যদেরও কমবে পাশাপাশি আমাদেরও কমবে। সরকারের সুযোগ-সুবিধা পেলে হয়তো রফতানি কমার মধ্যেও আমরা আমাদের অংশ বাড়াতে পারতাম। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় মোট রফতানিতে পোশাক ছাড়া অন্যান্য পণ্যের অংশও কমে আসবে। সব মিলিয়ে ইপিবির প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। দুই অংকের প্রবৃদ্ধি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। হয়তো পোশাক রফতানির প্রবৃদ্ধি ৮-১০ শতাংশের মধ্যে থাকবে কিন্তু সব পণ্য মিলিয়ে মোট প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে চলে যাবে।’

ইপিবির প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাক পণ্যে ৫ হাজার ৫০ কোটি ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে পোশাক পণ্যের প্রবৃদ্ধির হার ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের ১১ মাসে হোমটেক্সটাইল পণ্যের রফতানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ৩০ দশমিক ১৪ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইপিবির প্রস্তাব অনুযায়ী এ পণ্যের প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি প্রবৃদ্ধির প্রস্তাব ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের প্রস্তাবিত প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ। কৃষিপণ্যের প্রস্তাবিত রফতানি প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

উল্লেখ্য, অর্থমূল্য বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া শীর্ষ পাঁচ পণ্য হলো পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোমটেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষিপণ্য। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে দেশের মোট রফতানির ৯১ দশমিক ৮ শতাংশ জুড়েই ছিল এ পাঁচ পণ্য।

সাথী/পরিচয়

 

 

শেয়ার করুন