নিউইয়র্ক     শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডলারের দাম আরও বাড়লো

বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৩ | ১১:৩৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩১ মে ২০২৩ | ১১:৩৭ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
ডলারের দাম আরও বাড়লো

মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহীত

এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রতি ডলারে পাওয়া যাবে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ প্রবাসী আয়ে মিলবে ১১১ টাকা। আর রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০৭ টাকা। এতদিন রেমিট্যান্সের ডলারের দাম ছিল ১০৮ টাকা ও রপ্তানি আয়ে ছিল ১০৬ টাকা।

আজ বুধবার (৩১ মে) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা আগামী বৃহস্পতিবার (১ জুন) থেকে কার্যকর করা হবে। ডলারের নতুন দাম নির্ধারণের ফলে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের দাম পড়বে ১০৮ টাকা। তবে ব্যাংকে যেহেতু ডলারের সংকট রয়েছে, তাই অনেক ব্যাংক ১১০ টাকার চেয়ে বেশি দামে আমদানির ঋণপত্র খুলছে।

অন্যদিকে কিছু ব্যাংক প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কিনছে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে। ফলে ডলারের নতুন দাম নির্ধারণের ফলে সংকট কতটা কাটবে, সে ব্যাপারে ব্যাংকাররা নিশ্চিত নন। জানা গেছে, হুন্ডিতে বা অবৈধ পথে আসা ডলারের দাম প্রায় ১১০ টাকা। কিন্তু ব্যাংকগুলো ঘোষিত দামের চেয়ে ডলারের দাম বেশি দিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাস্তির মুখে পড়তে হয়। এ কারণে ব্যাংকগুলো বেশি দাম দিয়ে প্রবাসী আয় আনতে পারে না। সে কারণে বৈধ পথে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমছে বলে অনেক ব্যাংকার মনে করেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এর পর থেকে এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ডলার-সংকট আগে যতটা প্রকট ছিল, তা এখন অনেকটা কমে এসেছে। তবে আমদানি ঋণপত্র খোলা কমে গেছে। এতে ব্যাংকগুলোতে ডলারের মজুত কিছুটা বেড়েছে। তবে সংকট এখনো কাটেনি। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

শেয়ার করুন