নিউইয়র্ক     রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২২ | ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২২ | ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
চাঁদে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা

অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী ২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদে গাছ লাগানোর চেষ্টা করছেন। তারা গতকাল শুক্রবার এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এই উদ্যোগ সফল হলে ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষের বসতি স্থাপনের পথ সুগম হতে পারে।

কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজির উদ্ভিদবিজ্ঞানী ব্রেট উইলিয়ামস বলেন, ‘বেরেশিট-টু’ নামের একটি বেসরকারি ইসরায়েলি নভোযানে করে গাছের বীজগুলো চাঁদে পাঠানো হবে। সেখানে অবতরণের পর একটি আবদ্ধ প্রকোষ্ঠে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বীজগুলোর ভেতরে পানি দেয়া হবে। তখন সেগুলোর মাধ্যমে চারা গজায় কি না নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। চরমভাবাপন্ন অবস্থায় কীভাবে টিকে থাকতে পারে সেই বিবেচনায় গাছ বাছাই করা হবে। আর কত দ্রুত অংকুরোদগম হয় সেটাও বিবেচনায় রাখতে হবে। অস্ট্রেলীয় ‘পুনরুজ্জীবনী ঘাস’ এ ক্ষেত্রে একটি ভালো বাছাই হতে পারে। কারণ এগুলো পানি ছাড়াই সুপ্ত অবস্থায় বেঁচে থাকতে পারে।

একটি বিবৃতিতে গবেষকরা বলেন, প্রকল্পটি খাদ্য, ওষুধ এবং অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য গাছপালা রোপণের পথে একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ, যা চাঁদে মানবজীবন প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ক্যানবেরায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক কাইটলিন বার্ট বলেন, চাঁদে গাছের বেড়ে ওঠার একটা বন্দোবস্ত করতে পারলে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন পরিবেশেও খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

লুনারিয়া ওয়ান নামের একটি সংস্থা চাঁদে গাছ লাগানোর প্রকল্পটি চালাচ্ছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া এবং ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা যুক্ত রয়েছেন। আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পে সহযোগিতা করছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (কিউইউটি), ইসরায়েলের বেন-গুরিয়ন ইউনিভার্সিটি এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য।

পরিচয়/সোহেল

শেয়ার করুন