নিউইয়র্ক     মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইমরান খানের গ্রেপ্তার ইস্যুতে বাংলাদেশিদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছেন পাকিস্তানিরা

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৩ | ০১:৩৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৪ মে ২০২৩ | ০৪:২৮ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ইমরান খানের গ্রেপ্তার ইস্যুতে বাংলাদেশিদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছেন পাকিস্তানিরা

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খানের গ্রেপ্তার ইস্যুতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেপ্তারে সামঞ্জস্য খুঁজে ফিরছে পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম। অনেক পাকিস্তানিই টুইটারকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশিদের কাছে ক্ষমা চাইছেন। আবার অনেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই বলছেন পাকিস্তানের সত্যিকারের নায়ক।

প্রায় ১৫ হাজার ফলোয়ারের পাকিস্তানি প্রোফাইল ‘পাঞ্চ’ তার প্রোফাইলের ছবি বদলিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়েছেন। একই কাজ করতে দেখা গেছে আম্মারাহ নামে আরও এক পাকিস্তানিকে। আরও অনেক পাকিস্তানিও একই কাজ করছেন। যে দেশের পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষাব্যবস্থায় শেখ মুজিবকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, অথচ সাধারণ পাকিস্তানিরাই এখন নিজেদের ভুল শুধরে নিচ্ছেন।

সাইয়েদ তাকির নামে আরেক পাকিস্তানি ক্ষমা চাইছেন বাংলাদেশিদের কাছে। পেশায় প্রকৌশলী আজলান খান নামে আরেক প্রবাসী পাকিস্তানি বলেছেন, আমাদের ভিন্ন (’৭১ সম্পর্কে) ইতিহাস শেখানো হয়েছিল। ৫০ বছর পরে এখন সব প্রকাশ হচ্ছে। বেলুচিস্তানের বাসিন্দা আফিয়া সাফদার দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, হলুদ সাংবাদিকতা তাদের ’৭১ সম্পর্কে ভুল ধারণা দিয়েছিল।

লন্ডনে বসবাসরত পাকিস্তানি সৈয়দ তৌসিফ শাহও টুইটার হ্যান্ডেলে ক্ষমা চেয়েছেন বাংলাদেশিদের কাছে। কানাডাপ্রবাসী পাকিস্তানি লেখক মুস্তাফা ওয়ারিশ বলেছেন, ‘আমরা খুবই দুঃখিত বাংলাদেশি ভাইয়েরা, আমরা অন্ধ ছিলাম।’ মেহেরপুরের এক ভাস্কর্য যেখানে পাকিস্তানি সেনা বাঙালি নারীকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, তা শেয়ার দিয়েছেন কাশিফ ওয়াকার নামে আরেক পাকিস্তানি।

যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন হুসেইন হাক্কানি। তিনি টুইটার হ্যান্ডেলে বলেছেন, পাকিস্তানের অনেক তরুণই বর্তমান পরিস্থিতিকে অভূতপূর্ব আখ্যা দিয়েছে, বলছে এমনটা আগে ঘটেনি। তারা এমনটা বলছে, কারণ (বাংলাদেশের দিকে ইঙ্গিত করে) তারা পাকিস্তানের ইতিহাসের অনেক কিছুই জানে না।

এর আগে ইমরান খানও গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বেশ কয়েকবার ’৭১ সালের ঘটনার জন্য পাকিস্তানি সেনাদের কর্মকাণ্ডকেই দায়ী করেছিলেন। যদিও ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ক্ষমাপ্রার্থনার উদ্যোগ নেননি।

এ ছাড়া তার নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন। পরে বিরোধীদের প্রতিবাদে তা আর হয়ে ওঠেনি।

সুইটি/পরিচয়

শেয়ার করুন