নিউইয়র্ক     সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও উত্তাল মণিপুর, রাজ্যজুড়ে ভাঙচুর-আগুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৩ | ০৮:২০ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩ | ০৮:২০ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
আবারও উত্তাল মণিপুর, রাজ্যজুড়ে ভাঙচুর-আগুন

ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টার একাধিক ঘটনা ঘটেছে মণিপুরে । ছবি- সংগৃহীত

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্য ফের উত্তাল। এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষ যেন থামছেই না। গত বুধবার মণিপুর মন্ত্রিসভার একমাত্র নারী সদস্য কাংপোকপি কেন্দ্রের বিধায়ক নেমচা কিপগেনের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এবার গতকাল শুক্রবার রাতে রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলার কোয়াকতা, চুরাচাদপুর জেলার কাংভাই এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

দেশটির পুলিশ ও সেনা সূত্র জানিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত অবিরাম বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত রাজ্যের রাজধানী ইম্ফালে যৌথ সেনা, আসাম রাইফেলস, র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং রাজ্য পুলিশ টহল দিয়েছে।

এ ছাড়া অ্যাডভান্স হাসপাতালের কম্পাউন্ডে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালানো হয়েছে। গত কাল সন্ধ্যায় অন্তত এক হাজার ব্যক্তি জড়ো হয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এ সময় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে দুই বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। অন্যদিকে মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিক্ষোভ হয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ১১ টা নাগাদ ২০০ থেকে ৩০০ জন থংজুতে জড়ো হয় তারা স্থানীয় এমএলের বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়।

এ ছাড়া গত রাতেই ইম্ফালে ইরিংবাম পুলিশ ষ্টেশনের অস্ত্রাগারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাত ১২ টা নাগাদ ৩০০-৪০০ জন একটি পুলিশ স্টেশন গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। দেশটির সেনা সূত্র জানিয়েছে, সিনজেমাইতে মধ্যরাতের পরে ২০০-৩০০ জন ব্যক্তি ক্ষমতাসীন বিজেপির অফিস ঘিরে ফেলে। সেইসময় সেনাবাহিনী তাদের পিছু হটায়। একইসঙ্গে রাজ্য বিজেপি প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ভাঙচুরের চেষ্টাও চালানো হয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মে মাস থেকে শুরু হওয়া জাতিগত সহিংসতায় এখনও পর্যন্ত ১০০ এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন তিন শতাধিক। মণিপুরের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় হিন্দু মেইতেই জনগোষ্ঠীর। এদের অনেকেই বৈষ্ণব। রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ তারাই। অন্যদিকে পাহাড়ি অঞ্চলে বাস করেন যেসব নাগা এবং কুকি উপজাতির মানুষ, তাদের একটা বড় অংশ খ্রিস্টান। এরকম ৩৩ টি উপজাতি গোষ্ঠীর বসবাস রাজ্যের ৯০ শতাংশ পাহাড়ি অঞ্চলে।

শেয়ার করুন