নিউইয়র্ক     সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শান্তিতে নোবেল পেল কারাবন্দী অ্যালেস ও দুই সংগঠন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২২ | ১২:৪০ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২২ | ১২:৪০ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
শান্তিতে নোবেল পেল কারাবন্দী অ্যালেস ও দুই সংগঠন

এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এক মানবাধিকারকর্মী ও দুই মানবাধিকার সংস্থা। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় নরওয়ের রাজধানী অসলোতে নোবেল ইনস্টিটিউট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি ও সংস্থার নাম ঘোষণা করেছে।

নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি বলেছে, বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি, রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজকে চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে নোবেল কমিটি বলেছে, যারা শান্তিতে নোবেল পেল, তারা নিজ নিজ দেশে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় প্রচার চালিয়ে আসার জন্য তারা সুপরিচিত। তারা যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো বিষয়গুলো নথিভুক্ত করার প্রচেষ্টার জন্যও বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে।

নিয়মানুযায়ী নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেলজয়ী নির্বাচন করে থাকে। সব নোবেল পুরস্কার সুইডেনের স্টকহোম থেকে ঘোষণা দেওয়া হলেও শান্তিতে পুরস্কার ঘোষণা দেওয়া হয় নরওয়ের অসলো থেকে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ৬০ বছর বয়সী বিয়ালিয়াৎস্কি নিজ দেশে ‘ভিয়াসনা’ নামের মানবাধিকার সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। সংস্থাটি ১৯৯৬ সালে বেলারুশের স্বৈরাচারী নেতা আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর দমন-পীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।

নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটি বলেছে, ‘তিনি নিজের দেশে গণতন্ত্র ও শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন।’ বিবিসি আরও বলেছে, ২০১১-২০১৪ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে বিয়ালিয়াৎস্কি এবং কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তবে তিনি সব সময় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বেলারুশের বিরোধী দল এবং স্বাধীন পর্যবেক্ষকেরা লুকাশেঙ্কোর কারচুপির নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদের পরে ২০২০ সালে তাঁকে আবার আটক করা হয়েছিল। গত বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ফিলিপাইন বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মোরাতোভ। মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় নিজেদের অনন্য অবদান রাখার জন্য তাঁদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

এর আগে ২০২০ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে (ডব্লিউএফপি)। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে ২০০৬ নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

উল্লেখ্য, আলফ্রেড নোবেল নামের এক ব্যক্তি ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে তাঁর মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে একটি উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান।

পরিচয়/সোহেল

শেয়ার করুন