নিউইয়র্ক     মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লেবাননের কারাগারে সপ্তাহ ধরে অনশনে গাদ্দাফির ছেলে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৩ | ১১:০৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৯ জুন ২০২৩ | ১১:০৭ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
লেবাননের কারাগারে সপ্তাহ ধরে অনশনে গাদ্দাফির ছেলে

২০০৫ সালে ডেনমার্কে তোলা হান্নিবাল গাদ্দাফির একটি ছবি। ছবি : সংগৃহীত

বিনাবিচারে কারাবাসের প্রতিবাদ জানিয়ে লেবাননের একটি কারাগারে অনশন করছেন লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে মোতাসসিম বিলাল গাদ্দাফি ওরফে হান্নিবাল গাদ্দাফি। আজ শুক্রবার তার অনশনের এক সপ্তাহ পূর্ণ হলো। এরই মধ্যে তার স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি হয়েছে। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৭ বছর বয়সী হান্নিবাল গাদ্দাফি হাত-পায়ের পেশিতে খিঁচুনি, মাথা ঘোরা ও মাথাব্যথায় ভুগছেন। এর মধ্যে অনশনের কারণে তার মেরুদণ্ডের আগের সমস্যাও বেড়েছে। হান্নিবাল গাদ্দাফির এক আইনজীবী বৃহস্পতিবার জানান, একজন চিকিৎসক প্রতিদিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।

হান্নিবাল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পঞ্চম এবং ছোট ছেলে। বৈরুতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদর দপ্তরে ২০১৫ সাল থেকে বন্দি রয়েছেন তিনি। লেবাননের শিয়া ইমাম মুসা আল-সদর ১৯৭৮ সালে লিবিয়ার ত্রিপোলিতে ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। সে সময় হান্নিবালের বয়স ছিল তিন বছর। ওই ঘটনার কারণে হান্নিবাল বন্দি রয়েছেন। আল-সদর শিয়া রাজনৈতিক দল দ্য আমাল মুভমেন্টের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তার নিখোঁজের ঘটনায় মুয়াম্মার গাদ্দাফি দায়ী বলে দাবি করছে লেবানন।

২০১১ সালে ত্রিপোলির পতন এবং বিরোধী যোদ্ধাদের হাতে মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর পর হান্নিবাল তার স্ত্রী এবং ভাইবোনের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ আলজেরিয়ায় পালিয়ে যান। পরে তারা বাশার আল-আসাদের সরকারের অধীনে সিরিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।

হান্নিবালের আইনজীবীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে একটি সংবাদপত্রে সাক্ষাত্কারের কথা বলে হান্নিবালকে সিরিয়া-লেবানন সীমান্তে নেওয়া হয়। এরপর লেবাননের একটি দল আল-সদরের নিখোঁজের ব্যাপারে তার কাছ থেকে জানতে চায় এবং তাকে অপহরণ করে লেবাননে নিয়ে যায়।

হান্নিবালের আইনজীবীদের দাবি, এই অপহরণের পেছনে ছিলেন লেবাননে ইরান-সমর্থিত শিয়া রাজনৈতিক দল হিজবুল্লাহর সংসদ সদস্য হাসান ইয়াকুব। ইয়াকুবের বাবা ও সাংবাদিক আব্বাস বদর লিবিয়ায় আল-সদরের সঙ্গে ত্রিপোলি সফরে ছিলেন। এরপর থেকে তাকেও আর দেখা যায়নি।

শেয়ার করুন