নিউইয়র্ক     বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তি পেলেন রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২২ | ০১:৩৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২২ | ০১:৩৪ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
মুক্তি পেলেন রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীরা

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নলিনী শ্রীহরনসহ পাঁচ আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট আসামিদের মুক্তির আদেশ দেন। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আদেশে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর সরকার এর আগে রাজ্যপালের কাছে তাদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল বলে জানিয়েছে। গত মে মাসে এই হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরেক আসামি এ জি পেরারিভালানকে মুক্তি দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত যে আসামিরা মুক্তি পেয়েছেন তারা হলেন নলিনী শ্রীহরন, সান্থান, মুরুগান, রবার্ট পায়াস ও রবিচন্দ্রন। ভারতের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গাভাই ও বি ভি নাগারথনারের বেঞ্চ জানান, মামলার অন্যতম দোষী এ জি পেরারিভালানের মতো শীর্ষ আদালতের রায় অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।


চলতি বছরের ১৮ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পেরারিভালানের মুক্তির আদেশ দেয়। তিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন।

মুক্তিপ্রাপ্ত ছয় আসামি নলিনী শ্রীহরন, রবিচন্দ্রন, সান্থান, মুরুগান, এ জি পেরারিভালান ও রবার্ট পায়াসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তারা ২৩ বছরেরও বেশি সময় জেলে কাটিয়েছেন।


শ্রীহরন ও রবিচন্দ্রন ২০২১ সালে তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনের পর ‘তামিলনাড়ু সাসপেনশন অব সেন্টেন্স রুলস-১৯৮২’ এর আওতায় রাজ্য সরকারের অনুমোদনে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্যারোলে মুক্ত রয়েছেন তারা।

১৯৯১ সালে ২১ মে শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলম’ (এলটিটিই) এর এক সদস্য তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করেন। নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালীন ধানু নামের এই আত্মঘাতী হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজিব গান্ধীকে হত্যা করেন।


১৯৯৯ সালের মে মাসে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত পেরারিভালান, মুরুগান, সান্থান ও শ্রীহরনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ২০১৪ সালে প্রাণ ভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করায় সান্থান ও মুরুগানের পাশাপাশি পেরারিভালানের মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে ২০০১ সালে কিশোরী মেয়ের লালন পালনের কথা বিবেচনা করে অপর অভিযুক্ত শ্রীহরনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করেন দেশটির শীর্ষ এই আদালত।

শেয়ার করুন