গত ৫ জুন সোমবার সন্ধ্যায় উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে বাংলাদেশ সোসাইটি, নিউইয়র্ক এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতে এবারের বিশেষ সাধারণ সভায় সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৫টি সংশোধনী উপস্থাপন করা হয়। ১৫টি সংশোধনীর মধ্যে ১২টি কণ্ঠভোটে গৃহীত হয় এবং ৩টি কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়।
বিশেষ সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়া এবং সভা পরিচালনা করেছেন সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী। সভা মঞ্চে গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক একে এম ফজলে রাব্বী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন, বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ সভাপতি ফারুক চৌধুরী, গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন,আজিজুর রহমান, খোকন মোশাররফ, মাহবুবুর রহমান বাদল উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সোসাইটির এই বিশেষ সাধারণ সভায় ট্রাস্টি বোর্ড এবং নির্বাচন কমিশনের সদস্য এবং সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটির চেয়ারম্যান একেএম ফজলে রাব্বী সংশোধনীগুলো উপস্থাপন করেন। কন্ঠভোটে পাশ করা গঠনতন্ত্রের সংশোধনীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে কেউ টানা দুইবারের বেশি দায়িত্বে থাকতে পারবে না। এই দুই পদে পুনরায় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে হলে তাদের একবার বিরতি দিতে হবে। বাংলাদেশ সোসাইটি, নিউ ইয়র্ক এর ট্রাস্টি বোর্ডের মেয়াদ বর্তমান ৩ বছরের পরিবর্তে করা হয়েছে দুই বছর এবং বাংলাদেশ সোসাইটি, নিউ ইয়র্ক এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা সোসাইটির কোন প্রকার নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
আবার ট্রাস্টি বোর্ড থেকেও কাউকে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। সোসাইটির বর্তমান কার্যকরি কমিটির দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হবেন। বাংলাদেশ সোসাইটির বর্তমান লাইফ মেম্বারের ফি স্বামী- স্ত্রী ৫০০ ডলার এর পরিবর্তে ৮০০ ডলার করার প্রস্তাব কন্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়।
বিশেষ সাধারণ সভায় বর্তমান কার্যকরি কমিটির সকল সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এবারের বিশেষ সাধারণ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এড. জামাল আহমেদ জনি, নির্বাচন কমিশনের সদস্য রুহুল আমিন সরকার, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হাজী মফিজুর রহমান, ওয়াসি চৌধুরী, আজিমুর রহমান বুরহান, আব্দুল হাসিম হাসনু,সরাফ সরকার, এমদাদুল হক কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, সাবেক কর্মকর্তা বাবুল চৌধুরী, আক্তার হোসেন, সালামত উল্যাহ, তোফায়েল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম ভুইয়া রুমি, সৈয়দ এনায়েত আলী, ওয়োহেদ কাজী এলিন, সিরাজুল হক কামাল, বৃহত্তর নোয়াখালি সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু, সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা তপন জামান, আব্দুল মান্নান, সৈয়দ এমকে জামান, জে মোল্লা সানি, মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, বৃহত্তর নোয়াখালি সোসাইটির সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক, সাধারণ সম্পাদক ইউছুপ জসীম, সহ সভাপতি তাজু মিয়া, এস বাসেত রহমান,নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি রাফেল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান,প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম,সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আতোয়ারুল আলম,কাজী ফৌজিয়া,জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম,বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবি সিদ্দিক পাটেয়ারি, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম মাছুম, সোহেল গাজী,আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ সোহেল,মোহাম্মদ সাদেক,বদরুল হক আজাদ,ইঞ্জিনিয়ার মাইন উদ্দিন, দেবাশীষ দাস বাবলু, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, জহিরুল ইসলাম মোল্লা, মীর মশিউর রহমান,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিলাল চৌধুরী,মঈনুজ্জামান চৌধুরী,আতিকুল ইসলাম জাকির, শাখাওয়াত বিশ্বাস,টি মোল্লা, এম বাসেত রহমান, গিয়াস আহমেদ, গিয়াস উদ্দিনসহ কমিউনিটির আরো অনেকে।