নিউইয়র্ক     সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু পাকিস্তানের

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৩ | ০৮:৫১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩ | ০৮:৫১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু পাকিস্তানের

নামে-ভারে, পরিসংখ্যান কিংবা শক্তিমত্তায় পাকিস্তানের ধারেকাছেও নেই নেদারল্যান্ডস। ম্যাচেও যেন দেখা গেল তার প্রতিচ্ছবি। ব্যাট হাতে সমীহ দেখালেও বল হাতে ডাচদের পাত্তাই দেয়নি। মাঝ ইনিংসে খানিকটা সাহস দেখালেও বলার মতো লড়াই করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। হেরেছে ৮১ রানের বড় ব্যাবধানে।

শুক্রবার ( ৬ অক্টোবর) হায়দ্রাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারতের আতিথ্য নেয় পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডস। প্রায় দুই দশক পর বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। আর প্রায় এক যুগ পর ভারতের মাটিতে ওয়ানডে খেলতে নামে পাকিস্তান।

এমন স্মরণীয় ম্যাচে বল হাতে পাকিস্তানকে চমকে দেয় ডাচরা। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট তুলে নেয়ার পর দুই শ’র আগেই পকেটে পুরে ৬ উইকেট। তবে লোয়ার অর্ডারের দারুণ লড়াইয়ে ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস থামে ৯ ওভার বাকি থাকতেই ২০৫ রানে।

পাকিস্তান দলের মূল স্তম্ভে এদিন শুরুতেই আঘাত করেছিল নেদারল্যান্ডস। টসে হেরে পাকিস্তান দ্রুত হারিয়েছিল তাদের র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিন ব্যাটারকে। মাত্র ৯.১ ওভারে ফেরেন ফখর জামান, ইমাম উল হক ও বাবর আজম। দলীয় সংগ্রহ তখন মোটে ৩৮।

ফখরকে ১২ রানে ফিরিয়েই ১৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ভেন ব্রিক, ১৫ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার ইমাম উল হক। মাঝে বাবর আজম আউট হন মাত্র ৫ রানে। সেখান থেকে হাল ধরেন সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দু’জনেই তুলে নেন ফিফটি।

২৮.১ ওভারে ভাঙে ১২০ রানের এই জুটি। সৌদ শাকিল ফেরেন ৫২ বলে ৬৮ রান করে। সমান ৬৮ রান করে আউট হন রিজওয়ানও, ৭৫ বল খেলে ৩১.৩ ওভারে ফেরেন তিনি। একই ওভারের শেষ বলে ফেরেন ইফতেখার আহমেদ। ১১ বলে ৯ রান আসে তার ব্যাটে। ১৮৮ রানে ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

এরপর হাল ধরেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। ৬৪ রান আসে দু’জনের জুটিতে। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি দু’জনেত কেউই, ৩৪ বলে ৩২ রানে শাদাব ও ৪৩ বলে ৩৯ রান করেন নাওয়াজ। শাদাবকে আউট করার পরের বলে হাসানকে ০ রানে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন বাস ডি লিডি।

এরপর শাহিন শাহ আফ্রিদির ১২ বলে ১৩ ও হারিস রউফের ১৪ বলে ১৬ রানে ২৮৬ রানে পৌঁছায় পাকিস্তানের সংগ্রহ। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে রউফ আউট হলে থামে ইনিংস। ৪ উইকেট নেন ডি লিডি, দুটো নেন অ্যাকারম্যান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১১.১ ওভারে ৫০ রানে ২ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। ম্যাক্স ও ডা’উড ৫ ও অ্যাকারম্যান আউট হন ১৭ রান করে। তবে এরপর বিক্রম জিৎ সিং ও বাস ডি লিডের জুটিতে ইনিংসে প্রাণ ফিরে পায় নেদারল্যান্ডস। ৭০ রান আসে যুগবন্দিতে। দু’জনেই তুলে নেন ফিফটি।

বিক্রমজিৎ ২৪তম ওভারে ৬৭ বলে ৫২ করে আউট হলে ভাঙে জুটি। এই জুটি ভাঙতেই ভেঙে যায় ডাচদের ইনিংসের মেরুদণ্ড। উইকেট হারাতে থাকে নিয়মিত। ১২০ রানে ২ উইকেট থেকে ১৮৪ রানে ৯ উইকেট হারায় দলটি। বেশ ভালো খেলতে থাকা ডি লিডে ফেরেন নাওয়াজের বলে বোল্ড হয়ে ৬৮ বলে ৬৭ রানে।

শেষ দিকে লোগান ভেন বিকের ২৮ বলে ২৮ রান শুধুই হারের ব্যবধান কমায়। ৪১ ওভারে মাত্র ২০৫ রানে অলআউট হয় ডাচরা। হারিস রউফ ৩ ও হাসান আলি নেন ২ উইকেট। একটা করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি, ইফতেখার, নাওয়াজ ও শাদাব খান।

শেয়ার করুন