নিউইয়র্ক     সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবারে শান্তিতে নোবেলজয়ী বিয়ালিয়াৎস্কি এখনো কারাবন্দী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২২ | ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২২ | ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
এবারে শান্তিতে নোবেলজয়ী বিয়ালিয়াৎস্কি এখনো কারাবন্দী

এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়টি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। কেননা কেবলমাত্র মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য দেয়া হয়েছে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। ব্যক্তি হিসেবে এ পুরস্কার পেয়েছেন বেলারুশের কারাবন্দী মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি।

প্রতাপশালী শাসক আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কাজ করে আসছেন ৬০ বছর বয়সি বিয়ালিয়াৎস্কি। বেলারুশের অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি বর্তমানে বিচারপূর্ববর্তী বন্দিদশায় আছেন। ১৯৯৬ সালে বেলারুশে মানবাধিকার সংগঠন ভায়াসনা’ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠা করেন অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি। ভায়াসনা শব্দের অর্থ বসন্ত। বেলারুশের শাসক আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিল অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কির মানবাধিকার সংগঠন ভায়াসনা।

নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ার বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসন বলেন, মানবাধিকারের প্রশ্নে এক ইঞ্চি ছাড় দেননি তিনি (অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি)। নিজের দেশে গণতন্ত্রের প্রচার ও শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি। তার প্রতিষ্ঠিত ভিয়াসনা সংগঠনটি এখনও জেলে বন্দী বিক্ষোভকারী ও তাদের পরিবারের সমর্থনে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি বেলারুশ কর্তৃপক্ষের হাতে রাজনৈতিক বন্দী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সাল থেকে স্বৈরশাসকের মতো বেলারুশ শাসন করছেন লুকাশেঙ্কো। পশ্চিম ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসক হিসেবে আখ্যায়িত লুকাশেঙ্কো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর জন্য প্রথম থেকেই রুশ সেনাদের জায়গা দিয়েছে বেলারুশ। দিয়েছে অস্ত্রসহ সামরিক সরঞ্জাম মজুদ রাখার জায়গা।

এর আগে কর ফাঁকির মামলায় ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জেল খাটেন অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি। এরপর ২০২০ সালে লুকাশেঙ্কোকে কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন অভিযোগে বিক্ষোভের পর তাকে আবার আটক করা হয়। এরপর থেকে বিনাবিচারেই কারাগারেই আছেন বিয়ালিয়াৎস্কি। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ার বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসন বলেন, মানবাধিকারের প্রশ্নে এক ইঞ্চি ছাড় দেননি তিনি (অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি)। নিজের দেশে গণতন্ত্রের প্রচার ও শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি। তার প্রতিষ্ঠিত ভিয়াসনা সংগঠনটি এখনও জেলে বন্দী বিক্ষোভকারী ও তাদের পরিবারের সমর্থনে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি বেলারুশ কর্তৃপক্ষের হাতে রাজনৈতিক বন্দী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে।

বেলারুশের এই মানবাধিকারকর্মীর পাশাপাশি অবশ্য এ বছর রাশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনের সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিসও শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হতে যাচ্ছে।

পরিচয়/সোহেল

শেয়ার করুন