নিউইয়র্ক     সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধর্মঘটের ডাক ব্রিটেনের চিকিৎসকদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৩ | ০৮:৫১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৩ | ০৮:৫১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধর্মঘটের ডাক ব্রিটেনের চিকিৎসকদের

বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ৫ দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) ইংল্যান্ড শাখার জুনিয়র চিকিৎসকরা। দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম সরকারি স্বাস্থ্যসেবার সংস্থার চিকিৎসকরা টানা ৫ দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। ব্রিটেনের ডাক্তারদের সংগঠন ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ইংল্যান্ড শাখার (বিএমএ) ডাকে এই ধর্মঘট আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে, চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত।

বার্তাসংস্থা এএফপিকে বিএমএ ইংল্যান্ড শাখার নেতা রবার্ট লরেনসন বলেন, ‘আজ আমরা যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। আমরা এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি কেবল ন্যায্য বেতন-ভাতার জন্য…ইতিহাসের বইয়ে স্থান করে নেওয়ার ইচ্ছে থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়নি।’

যুক্তরাজ্যেভুক্ত তিন দেশ— ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসের চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা অনেকটাই এনএইচএস পরিচালিত হাসপাতালগুলোর ওপর নির্ভরশীল। এই তিন দেশের মধ্যে আয়তন ও জনসংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বড় ইংল্যান্ড। করোনা মহামারির ধকল কাটতে না কাটতেই এনএইচএস ইংল্যান্ড শাখার এই ধর্মঘটের কারণে সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিপর্যয় ঘটবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিএমএ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম দিকে বেতন-ভাতা ৩৫ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড শাখার এএনএইচএসভুক্ত হাসপাতালগুলোর জুনিয়র চিকিৎসকরা। এনএইচএস স্কটল্যান্ড শাখা সম্প্রতি স্কটিশ চিকিৎকদের দাবি মেনে নিয়ে বেতন-ভাতা ২৬ শতাংশ বাড়িয়েছে। তবে ইংল্যান্ড এনএইচএস বেতনভাতা মাত্র ৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএমএ ইংল্যান্ড।

বিএমএ ইংল্যান্ডের সদস্য অর্জুন সিং বলেন, ‘ইংল্যান্ড এনএইচএস তার সুনাম হারাচ্ছে এবং আমরা মনে করি, ডাক্তাদের যথাযথ পারিশ্রমিক দেওয়ার ঘোষণা সেই সুনাম রক্ষার শেষ সুযোগ।’ ‘চিকিৎসকের পেশা একটি বৈশ্বিক পেশা। জুনিয়র চিকিৎসকদের অনেকেই ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে— এএনএইচএস (ইংল্যান্ড) যদি বেতন-ভাতা বৃদ্ধি না করে— সেক্ষেত্রে যেসব দেশে ডাক্তাদের সম্মান করা হয়— সেসব দেশে তারা চলে যাবে।’

অ্যাসোসিয়েশনের অপর নেতা বিবেক ত্রিবেদী বলেন, ‘স্কটল্যান্ডের সরকার সম্প্রতি চিকিৎসকদের বেতনভাতা যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। ইংল্যান্ডের সরকারও যদি এক্ষেত্রে স্কটল্যান্ডকে অনুসরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, সেক্ষেত্রে আমরা আজই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিতে প্রস্তুত আছি।’

শেয়ার করুন