নিউইয়র্ক     মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে ‘কৃষ্ণ মৃত্যু’ বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০৬:০৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
যুক্তরাষ্ট্রে ‘কৃষ্ণ মৃত্যু’ বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

চতুর্দশ শতকে বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে অন্তত ২০ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কেবল ইউরোপেই মারা গিয়েছিল আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ। তারপর থেকে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এই রোগের খুব বেশি আলামত বা প্রমাণ দেখা যায়নি। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রে এই রোগে আক্রান্ত একজনের সন্ধান পাওয়া গেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অরেগনে বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গেছে। অরেগন অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তাদের অনুমান, ওই ব্যক্তির পোষা বিড়াল থেকেই হয়তো রোগটি ছড়িয়েছে। অরেগনের রাজ্য সরকার এই রোগকে বিপজ্জনক হিসেবেই বিবেচনা করছেন।

অরেগনের কর্মকর্তারা বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেননি। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাঁরা অনুমান করছেন, এই রোগ ওই ব্যক্তির পোষা বিড়ালের মাধ্যমে ছড়িয়েছে।

অরেগনের ডেশ্যুটস কাউন্টির চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. রিচার্ড ফচেট জানিয়েছেন, গত সপ্তাহেই ওই ব্যক্তির বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাই আমরা। তিনি বলেন, ‘কাউন্টির অধিবাসীদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং তাদের পোষা প্রাণীগুলোও নজরদারিতে আনা হয়েছে। সবাইকে আগেভাগেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, যাতে প্রাদুর্ভাব এড়ানো যায়।’

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাহক প্রাণী বা মাছির সংস্পর্শে আসার আট দিনের মধ্যে মানুষের শরীরে প্লেগের লক্ষণগুলো ফুটে উঠতে শুরু করে। এসব লক্ষণের মধ্যে জ্বর, বমি বমি ভাব, দুর্বলতা, ঠান্ডা লাগা ও পেশিতে ব্যথা উল্লেখযোগ্য।

প্রাথমিকভাবে এই রোগ নির্ণয় করা না হলে বিউবোনিক প্লেগ সেপ্টিসেমিক প্লেগ বা রক্তের মাধ্যমে সংক্রমিত প্লেগ কিংবা নিউমোনিক প্লেগে রূপ নিতে পারে। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত ও ফুসফুস প্রভাবিত হয়। দুটোই অনেক বেশি গুরুতর।

অরেগন রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সৌভাগ্যবশত এই কেস দ্রুতই চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। এটি স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য সামান্য ঝুঁকি তৈরি করেছিল।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সংক্রামক রোগের তদন্তের সময় প্লেগে আক্রান্ত আর কোনো ঘটনা পাওয়া যায়নি।’

এর আগে অরেগনে ২০১৫ সালে সর্বশেষ বিউবোনিক প্লেগে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।সূত্র: আজকের পত্রিকা।

শেয়ার করুন