নিউইয়র্ক     সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে নিজেকে ‘সৌভাগ্যবান’ বললেন সালমান রুশদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৬:৩০ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৬:৩০ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
যে কারণে নিজেকে ‘সৌভাগ্যবান’ বললেন সালমান রুশদি

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি নিউইয়র্কে গত বছর ছুরি হামলার শিকার হওয়া পর প্রথম এক সাক্ষাৎকারে তার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। ‘দ্য নিউইয়র্কার’ ম্যাগাজিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ার জন্য নিজেকে ‘সৌভাগ্যবান’ উল্লেখ করে তিনি। খবর আরব নিউজের।

হামলার পর ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে যারা তাকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন তাদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ বলে জানান রুশদি। গত বছর আগস্টে শাটাকোয়া ইনস্টিটিউটের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন বুকারজয়ী এ লেখক। যখন তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, তখনই এক লোক দৌড়ে স্টেজে উঠে ছুরি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়।

৭৫ বছর বয়সি রুশদির ঘাড়ে ও শরীরে জখম হয়েছে বলে নিউইয়র্ক পুলিশ জানায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি ছয় সপ্তাহ চিকিৎসাধীন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তার ঘাড়ে ও পেটে অন্তত একবার করে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। পরে রুশদি এক চোখের দৃষ্টিশক্তিও হারান।

১৯৮৮ সালে প্রকাশিত স্যাটানিক ভার্সেস উপন্যাসের জন্য তিন দশকের বেশি সময় ধরে হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন এর লেখক রুশদি। তার এ উপন্যাস বিশ্বজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল এবং বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল।

রুশদি বলেন, বড় আঘাতগুলো মোটামুটি সেরে গেছে। আমার হাতের বুড়ো আঙুল, তর্জনী এবং হাতের তালুর অর্ধেকাংশে আমি অনুভূতি পাচ্ছি। আমি হাতের অনেক থেরাপি নিচ্ছি। সেটি ভালো কাজ দিচ্ছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে।

তবে আঙুলের ডগায় অনুভূতি ভালো না থাকায় টাইপ করা এবং লিখতে কষ্ট হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন রুশদি। হামলার ঘটনা তার মনেও দাগ কেটে গেছে জানিয়ে রুশদি বলেন, তাকে তার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।

রুশদির ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ হাদি মাতার (২৪) নামে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনেছে। সেই ব্যক্তি নিউজার্সির ফেয়ারভিউয়ের বাসিন্দা। তিনি একটি পাস কিনে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেছিল এবং দর্শক সারি থেকে উঠে এসেছিলেন।

সালমান রুশদির জন্ম ১৯৪৭ সালে মুম্বাইয়ে এক কাশ্মীরি মুসলিম পরিবারে, ভারত ভাগের ঠিক আগে আগে। ১৯৮১ সালে তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ প্রকাশিত হলে লেখক হিসেবে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতীয় উপমহাদেশের ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহের ছকে ফেলে জাদু বাস্তবতার মিশেলে লেখা তার সেই উপন্যাস ম্যান বুকার পুরস্কার জিতে নেয়। শুধু যুক্তরাজ্যেই বইটি বিক্রি হয় ১০ লাখ কপির বেশি।১৯৮৮ সালে তার বিতর্কিত ও কুখ্যাত গ্রন্থ ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রায় ১০ বছর আত্মগোপনে ছিলেন রুশদি।

শেয়ার করুন