কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সত্ত্বেও অর্থনীতি ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকায় চীন মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকির মুখে পড়েছে। চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্যানুযায়ী, এক বছর আগের মে মাসের তুলনায় চলতি মে মাসে চীনে উৎপাদক পর্যায়ে পণ্যের মূল্য ৪.৬ শতাংশ কমেছে। যা ২০১৬ সালের পর থেকে অষ্টমবারের মতো টানা এবং সবচেয়ে বড় পতন। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের জরিপে অর্থনীতিবিদরা এই মূল্য ৪.৩ শতাংশ পতনের ধারণা করেছিলেন।
এদিকে ভোক্তা পর্যায়ে বছরের পর বছর পণ্যের মূল্য শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে যা অর্থনীতিবিদদের ধারণার চেয়ে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ কম। এটিকে চাহিদা কম থাকার আরেকটি লক্ষণ মনে করা হয়। আর এটিই মুদ্রাস্ফীতি ঘটায়— এটি এমন এক পরিস্থিতি যেখানে দাম কমে যায় এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংকোচনের দিকে ধাবিত হয়। চীনের জন্য এই বিষয়টিই ক্রমশ হুমকি হয়ে উঠছে।
চীনের অর্থনীতিতে প্রথম ত্রৈমাসিক জিডিপি বৃদ্ধিতে ইতিবাচক উন্নতির পর সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সূচকগুলি কোভিড-পরবর্তী পুনরুদ্ধারের গতিতে বড় ধরনের অবনতির ইঙ্গিত দিয়েছে। চীনে রিয়েল এস্টেট এবং কারখানার উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে ধীর হয়েছে এবং চাহিদা কমে যাওয়ায় কিছু পণ্যের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়েছ।
চীনের অর্থনীতি যে খুব দ্রুতই তার কোভিড-যুগের সীমাবদ্ধতা থেকে বের হতে পারবে— এই ব্যাপারে কিছু বিশেষজ্ঞ নেতিবাচক মত দিয়েছেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাবেক কর্মকর্তা ডেসমন্ড ল্যাচম্যান বলেছেন, চীনের অর্থনীতি জাপানের মতো ‘লস্ট ডিকেড’-এর দিকে যেতে পারে। সূত্র : মার্কেট বিজনেস ইনসাইডার