চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ায় পণ্য নিয়ে যাওয়া জাহাজের একটি খালি কনটেইনারে বাংলাদেশী এক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে হংকংভিত্তিক ‘এমভি ইন্টেগ্রা জাহাজ’ থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় শিপিং এজেন্ট জানায়, গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটি থেকে জাহাজটি মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। চারদিনের মাথায় ১৬ জানুয়ারি জাহাজটি কেলাং বন্দরের বহিনোঙ্গরে পৌঁছলে জাহাজের নাবিকেরা খালি কনটেইনারের সারির মধ্যে শব্দ শুনতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানান। বন্দর কর্তৃপক্ষ পরদিন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জাহাজটি জেটিতে ভিড়ানোর অনুমতি দেয়। এরপর সন্দেহজনক কনটেইনার নামিয়ে ওই কিশোরকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
যে কনটেইনারটি থেকে কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে সেটির মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক রিলায়েন্স এক্সপ্রেস লাইন। প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের স্থানীয় প্রতিনিধি রিলায়েন্স শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, জাহাজটিতে রিলায়েন্সের ১০৫টি খালি কনটেইনার ছিল। একটিতে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জেনেছি। এটি নেমসন ডিপো থেকে বন্দর দিয়ে জাহাজে তুলে দেয়া হয়েছিল। নেমসন কনটেইনার লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক কাজী মুরাদ হোসেন বলেন, ‘ডিপো থেকে এক দরজা খোলা রেখে খালি কনটেইনার বন্দরে পাঠানো হয়। বন্দর ফটক দিয়ে ঢোকার সময় যাচাই করা হয়। ডিপো থেকে কারও খালি কনটেইনারে করে বন্দর ঢোকার সুযোগ নেই।
খালি কনটেইনার জাহাজে তোলার আগে দরজা খুলে যাচাই করার কথা বন্দর কর্মীদের। এরপর দরজা বন্ধ করে জাহাজে তুলে দেয়া হয়।’ জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি চট্টগ্রামের কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্স বিডি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ব্যবস্থাপক এস এম ফয়সল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘নাবিকেরা বিষয়টি আমাদের অবহিত করে মঙ্গলবার রাতে। উদ্ধার হওয়া কিশোরের বয়স ১২ হতে ১৫ বছর হতে পারে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়