নিউইয়র্ক     মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত ও চীনের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায় নেপালের নতুন সরকার?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ভারত ও চীনের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায় নেপালের নতুন সরকার?

সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহী প্রধান প্রচণ্ডের নেতৃত্বে নেপালের নতুন সরকার প্রতিবেশী চীন ও ভারতের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করবে। বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশগুলোর একটি নিজেদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য এমন সম্পর্ক চায় বলে ক্ষমতাসীন জোটের নেতারা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

গেরিলা যুদ্ধের সময়কার প্রচণ্ড নামেই এখনও পরিচিত পুষ্প কমল দহল। রবিবার অপ্রত্যাশিতভাবে তৃতীয়বারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। আগের জোট ছেড়ে বিরোধী দল কমিউনিস্ট ইউনিফাইড মার্কিক্স-লেনিনিস্ট (ইউএমএল) পার্টি ও অপর ছয়টি ছোট দলের সঙ্গে জোটবেঁধে সরকার গঠন করছেন তিনি। গত মাসের নির্বাচনে কোনও দলই সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। এতে দেশটিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ফিরে আসে।

ইউএমএল নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি চীন ঘেঁষা বলে পরিচিত। দক্ষিণ এশীয় যেসব দেশে চীন ও ভারত উভয়েই প্রভাব বিস্তার করতে চায় সেগুলোর একটি হলো নেপাল। ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও দীর্ঘ উন্মুক্ত সীমান্ত থাকা হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ নেপালকে নিজেদের নিরপেক্ষ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে ভারত।

আরোও পড়ুন।চীনে শ্মশানে ভিড়, মরদেহ দাহ করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা স্বজনদের

প্রচণ্ডর মাওবাদী কেন্দ্র পার্টির সিনিয়র সদস্য নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠা বলেন, আমাদের দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে সমসান্নিধ্যের সম্পর্ক আমরা বজায় রাখবো। এই মন্তব্য করার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের অবিলম্বে মনোযোগ দিতে হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা, রিজার্ভ বজায় রাখা, মূলধন ব্যয় বাড়ানো, বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা এবং সুদের হার কমানোর দিকে।

নতুন সরকারের ছয়টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন প্রচণ্ড। গুরুত্বপূর্ণ অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বিষ্ণু প্রসাদ পাউডেল। তিনি ইউএমএল পার্টির নেতা। এর আগে দুইবার তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন টেলিভিশন টকশো সঞ্চালক রবি লামিচ্চানে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রচণ্ড নিজের কাছেই রেখেছেন। বেইজিং ও নয়াদিল্লি ত্রাণ ও বিনিয়োগ হিসেবে কয়েকশ’ কোটি ডলার নেপালকে দিয়েছে। জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে নেপালের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

দায়িত্ব পাওয়ার পর নেপালের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রচণ্ডকে। কাঠমান্ডুর চীনা দূতাবাসের মুখপাত্রও একটি টুইটার পোস্টে প্রচণ্ডকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ২০০৮ সালে ২৩৯ বছর পুরনো রাজশাসন অবসানের পর থেকে এখন পর্যন্ত নেপালে দশবার সরকার বদল হয়েছে।

শেয়ার করুন